রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী, দলের নেতা সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)-কে প্রার্থী করতে চায় সিপিআইএম (CPIM)। এ ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, তিনি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র গড়বেতা (Garbeta) থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন।
তিনি দীর্ঘদিন সেখানকার বিধায়ক ছিলেন। পরে রাজ্যের মন্ত্রীও হন। ২০১১ সালের 'কঠিন' ভোটেও তিনি সেই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। পরে বিভিন্ন মামলা এবং বিতর্কে জড়ান। দলের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই সব মামলা দায়ের করেছিল।
মামলার জেরে নিজের এলাকায় ঢুকতে পারতেন না তিনি। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে স্বস্তি দেয়। নিজের এলাকায় ঢুকতে আর কোনও বাধা থাকে না। এরপর তিনি নিজের এলাকায় সভাও করেছেন। তারপর রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় তিনি সভা করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত। ছাত্র-যুবদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়। সিপিআইএম এই দুটি বিষয়কে কাজে লাগাতে চাইছে এবং আশা করছে ভোটে ভাল ফল করবে।
সুশান্ত ঘোষকে প্রার্থী করা হবে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয় বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তীর কাছে। সোমবার তিনি জানান, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
দল যাতে তাঁকে পুরোদমে কাজে লাগায়, সে ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মী-সমর্থকেরা প্রচার চালান। তাঁকে তুলনা করা হয় বাঘের সঙ্গে। দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ তাঁকে 'টাইগার' বলেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, টাইগার কিনা জানি না। তবে লাল ঝান্ডা নিয়ে মাঠে নামব। দল যা বলবে, তাই করব।
কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্ত সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)-এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। প্রথমবার আদালত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দল সংশোধনাগারের বাইরে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেছিল। তবে ২০১৯ সালে দলবিরোধ কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনি রাজনৈতিক কাজ শুরু করতে পারলে তাঁর দল আরও শক্তি পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতায় এসে কঙ্কাল-কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুশান্ত বলেছিলেন, "কঙ্কাল কী ভাবে, কোথা থেকে এল, এবার সব জানতে পারবেন মানুষ। অনেক কুৎসা রটানো হয়েছিল মিথ্যে অভিযোগে আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল। যখনই আদালতে একটি মামলা থেকে ছাড় মিলেছে, তখনই অন্য মামলা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।"