India Today Conclave East 2021 তিনটে বড় সমস্যা মমতা সরকারের আছে। এই তিনটে সমস্যার জন্য বাংলার উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। এমনটাই জানালেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও প্রশাসনের রাজনীতিকরণ। এই তিনের জন্য বাংলার উন্নয়নের কাটা থমকে আছে।
তৃণমূলকে নিশানা শাহের
অমিত শাহ বলেন, পরিবর্তন যাত্রার পিছনে কেবলমাত্র মুখ্যমন্ত্রী কিংবা ক্ষমতাধারী দলকে পরিবর্তন নয়। বাংলার স্থিতির পরিবর্তন আমাদের লক্ষ্য। ভুল যেটা চলছে সেটা থামানো ভালো কিছুর সূচনা করা। আমি মানি যে বাংলার জনতা আমার সঙ্গে রয়েছে। ২০০ র থেকে বেশি সিট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। পরিবর্তন যাত্রাতে যতই আটকানোর চেষ্টা করুক না কেনও, বিজেপিকে আটকানো যাবে না। এখানে বামেদের শাসনকালে হিংসা হত। এখনও হচ্ছে। আমাদের সরকার এলে এগুলো বন্ধ হবে। বাংলার সংস্কৃতি এমন ছিল না। আমি জানি না উনি জয় শ্রী রামে ওনার আপত্তি কেন। এটাকে ধার্মিক স্লোগান নয়। এটা প্রতীক তুষ্টিকরণের বিরুদ্ধে। এখানে দুর্গাপুজোর জন্য হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়। রামনবমী করতে দেওয়া হয় না। জয় শ্রী রাম যে আক্রোশের সঙ্গে শোনা যায় সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। এটা পরিবর্তনের স্লোগান।
একাধিক ইস্যুতে তোপ
অমিত শাহ বলেন, এপ্রিলের পরে সিএএ আমরা লাগু করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো করবেন না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর তো থাকবে না। স্মরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। অমিত শাহ বলেন, গতবারের নির্বাচনে জনতা দোনামনায় ছিল, বিজেপি পারবে কি পারবে না। কিন্তু এবার জনতার পূর্ণ বিশ্বাস, বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসছে। আমি বলে দিচ্ছি, ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। বাংলার জনতা কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়েছে, ৩৪ বছর বামেদের সুযোগ দিয়েছে, এবার আমার বিশ্বাস, বিজেপি-কে সুযোগ দেবে বাংলার মানুষ। বাংলায় বিজেপি সরকার এলে পাতাল থেকে গুণ্ডাদের খুঁজে বের করা হবে। আমাদের কর্মীদের যারা যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের সামনে নিয়ে আসব। বাংলার জনতা এই সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। বাংলার মানুষের মধ্যে এমন মনোভাব এসেছে যে গুণ্ডাদেরও ক্ষমতা নেই নির্বাচন আটকানোর। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে ব্যবস্থা করবে।
কড়া বার্তা শাহের
অমিত শাহ বলেন, বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। যাকে সদস্যপদ দেওয়া হয় তাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। আমরা কিন্তু কারোর কেস তুলে কি দিয়েছি আমরা। বাংলার যেই ছবি হওয়ার কথা ছিল, সেটা নেই। বাংলার জিডিপি নেমে গিয়েছে। গুন্ডাবাজি বন্ধ হওয়া উচিত। 'আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলে দিতেই এসেছি। এবং একুশের নির্বাচনে এই সরকারকে উপড়ে ফেলবই।'