scorecardresearch
 

নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে জয় শ্রী রামে ক্ষুব্ধ, মমতার কাছেও কি নয়া রাজনৈতিক অস্ত্র? 

নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী ঘিরে বিজেপি বনাম তৃণমূল তরজা অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে যাওয়ার সময়ে সভায় কয়েকজন জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন। এরপরেই মমতা বলেন, সরকারি কর্মসূচিতে এমন স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়।

Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি-পিটিআই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি-পিটিআই
হাইলাইটস
  • নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে জয় শ্রী রামে ক্ষুব্ধ মমতা
  • নয়া অস্ত্র পেলেন মমতা ?
  • বাংলার রাজনীতি কার্যত দুই ভাগ

নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী ঘিরে বিজেপি বনাম তৃণমূল তরজা অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে যাওয়ার সময়ে সভায় কয়েকজন জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন। এরপরেই মমতা বলেন, সরকারি কর্মসূচিতে এমন স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়। পরে ক্ষোভে তিনি ভাষণও দেননি। এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা হয়েছে ওই কর্মসূচিতে। বাঙালির সংস্কৃতি এমন নয়।

মমতা কি পেলেন নয়া অস্ত্র ?

দেখা যাচ্ছে ওই ঘটনার পরে তৃণমূলের যতগুলি সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুরু করে সভা হয়েছে। সবকটিতে তৃণমূল নেতারা এ বিষয়টিকে টেনে এনে সরব হয়েছেন। এখনই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এটাই কি নয়া অস্ত্র হতে চলেছে। তেমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মূল অস্ত্র বহিরাগত ইস্যু। তার মধ্যে নেতাজির জন্মবার্ষিকী ঘিরে এই ঘটনাটি কি এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

তৃণমূল বনাম বিজেপি

তবে এর আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল ২৬ তারিখই। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল নেতা -নেত্রীরা একে একে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে শুরু করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে দলীয় সভায় সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিষয়টি এখন যা অবস্থা, তাতে বাংলার রাজনীতি কার্যত দুই ভাগ। কারোর মতে জয় শ্রী রাম কেউ বলতেই পারেন। এটা মূলত ধর্মীয় স্লোগান। অপর পক্ষের দাবি, নেতাজির জন্মদিবসে এই স্লোগানের কোনও মানে হয় না।

আরও পড়ুন, 'বহেন' বলেই সৌজন্য শেষ ! নেতাজির মঞ্চে 'দো গজ কি দূরি' রাখলেন মোদী-মমতা

অন্যদিকে এই বিষয়টি বাম ও কংগ্রেস শিবিরও কার্যত তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন যা অবস্থা আগামী দিনে এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে তৃণমূলের অন্যতম প্রচারের হাতিয়ার হতে চলেছে এই ইস্যুটি।

চলছে জল্পনা

Advertisement

যদিও বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। যদিও তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যুর এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিজেপিকে। তার মধ্যে এই ইস্যুটি হলে, স্বাভাবিক ভাবেই বঙ্গ বিজেপির ব্রিগেডের উপর চাপ বাড়তে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

Advertisement