এর আগে একাধিকবার নিজের কৃকতর্মের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ফের একবার আইটনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অনুপম হাজরা। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এবার তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে নোটিস ঝোলালো। জোড়াবাগানে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি নেতা। সেই ঘটনাতেই শান্তিনিকতন পুলিশের সাহায্যে অনুপমের বাড়িতে শোকজ নোটিস দিল কলকাতা পুলিশ।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই কলকাতার জোড়াবাগানে নাবালিকা ধর্ষণ, খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। এই কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্য় নিয়ে এসেছিলেন অনুপম হাজরা। ৯ বছরের সেই মেয়েটির পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন অনুপম হাজরা। সেই ছবি তিনি ট্যুইটও করেন। যদিও অনুপমের দাবি, তিনি শিশুর আসল নাম প্রকাশ্যে আনেননি। টুইটারে তিনি ‘পরিবর্তিত নাম’ দিয়েছিলেন। যদিও পরিবারের ছবি ছিল অনুপমের ট্যুইটে। এর জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন (POCSO) অমান্যের অভিযোগও ওঠে।
নাবালিকার নাম প্রকাশ করায় অনুপমের নিন্দা করেছিল রাজ্য়ের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে কলকাতা সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থ হয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। নোটিস পাঠানো হয় বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। শোকজ নোটিস পাঠিয়ে তাঁর এই কাজের জবাব চাওয়া হয়েছে।
যদিও নোটিস পাঠানোর বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করছেন অনুপম হাজরা। ফেসবুক পোস্টে তাঁর মত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পালটা দিতেই তাঁকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
ফেসবুকে অনুপম লিখেছেন, ”ভাইপোর বাড়িতে CBI তল্লাশির জের !!! শোকজ এর রিপ্লাই দেওয়া সত্ত্বেও, বাড়ির দেওয়ালে চিপকে দেওয়া হলো পুলিশি নোটিশ !!! বর্তমান বাসস্থানের ঠিকানায় নোটিশ না পাঠিয়ে বাবা-মার ঠিকানায় নোটিশ, যাতে নির্ধারিত সময়ে জবাব না দিতে পারি এবং রাজ্য সরকার নিজের সুবিধামতো স্বেচ্ছাচারিতায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা স্বরূপ পদক্ষেপ নিতে পারে!!!” বিধানসভা ভোটের আগে যখন এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত তখন অনুপমের পুলিশি নোটিসের এই ঘটনা নতুন রাজনৈতিক রঙ যোগ করেছে তা বলাইবাহুল্য।