ভোটের শেষ বেলায় অসুস্থ কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র (Madan Mitra)। হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় মদনের। এরপরেই খবর দেওয়া হয় চিকিৎসকে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকেরা। সারাদিন কড়া রোদ্দুরের মধ্যে বুথে বুথে ঘোরার কারণেই এই শারীরিক অসুস্থতা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এরপরেই নেবুলাইজার দেওয়া হয় তাঁকে। একইসঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিশ্রামের পরামর্শও।
পঞ্চম দফা নির্বাচনে ভোট ছিল কামারহাটি (Kamarhati) কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন মদন মিত্র। এদিন সকালেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন মদন। সংবাদমাধ্যমকে মদন জানান, বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতেই পুজো দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বহিরাগতদের হাত থেকে যাতে বাংলাকে বাঁচানো যায় তারজন্যও তিনি পুজো দিয়েছেন বলে জানান মদন। তারপরেই হীরালাল কলেজে গিয়ে ভোট দেন তিনি। যদিও সেই বুথে খাদ্যসাথীর স্টিকার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছে।
এরপর ভোট পরিদর্শনে বেরোন মদন। আড়িয়াদহে বুথে মদনকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে মদনের সঙ্গে বচসাও শুরু হয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। জানা যায়, মদনের বুক পকেট সার্চ করতে যান বাহিনীর জওয়ানরা। আর তাতেই চটে যান কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী। বুথে মদনকে বলতে শোনা যায়, 'মাই নেম ইজ মদন মিত্র। কাকে ভয় দেখাচ্ছো, মদন মিত্রকে? পকেট সার্চ করছে!' এরপরেই পকেট থেকে ঠাকুরের ছবি বের করে দেখান তিনি। এই ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় ওই বুথে। সেই মদন মিত্রই দিনের শেষে হলেন অসুস্থ। প্রসঙ্গত এই কেন্দ্রে মদন মিত্রের বিজেপির হয়ে লড়ছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন সায়নদীপ মিত্র।