রঘুনাথপুরে মমতা বললেন, ওরা আমাদের কিছু বুথ এজেন্টকে বলছে, তোকে ৫ লক্ষ টাকা দেব, ভোটটা আমাদের হয়ে করিয়ে দিবি। সতর্ক থাকুন। বহিরাগত গুণ্ডা ও বিজেপির দালালদের থেকে সতর্ক থাকুন। সিপিআইএম, বিজেপির দালাল। বিজেপি গদাই, কংগ্রেস মাধাই আর সিপিআইএম জগাই। সব এক হয়ে কাজ করছে। নিজের ভোট নিজে দেবেন। সকাল সকাল ভোট দেবেন।
এই খেলায় খেলতে হবে। বিজেপিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাংলার বাইরে বের করতে হবে। আমি বলছি, ঝাড়খণ্ডের বর্ডার শিল করে দিক কমিশন। বাইরে থেকে গুণ্ডা আনছে বিজেপি। টাকা আনছে। নাকা চেকিং করান। খেলা হবে ভোটের দিন। বিজেপি যাতে মেশিন দখল করতে না পারে, সে দিকে নজর রাখবেন। মেশিন যদি খারাপ করে দেয়, একটি অপেক্ষা করবেন। ভোট না দিয়ে যাবেন না।
পুরুলিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ বিজেপি-কে, বললেন, আজকে অমিত শাহ বলছেন, আমফানে ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। মিথ্যবাদীর দল, রাবণের দল, দানবের দল, জঘন্য দল। একটা পয়সা দেয়নি। ভোটের সময় টাকা দেবে। আপনারই টাকা। আপনাকে দেবে। নিয়ে নেবেন। একটা ভোটও বিজেপিকে দেবেন না। কারণ, ওটা আপনারই টাকা।
তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুরের সভায় বললেন, এই কেশপুর সিপিএম-এর শেষপুর হয়েছিল। বিজেপিরও হবে। যারা ভাবছে টাকা দিয়ে ভোট করব, তারা ভুল করছেন। মেদিনীপুরের গদ্দারদের জবাব দিন। যদি টাকা দেয়, নিয়ে নেবেন। বড় ফুলের টাকা নেবেন, ছোটফুলে ভোট দেবেন।
সীমান্ত সিল করতে হবে। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী প্রচারে আসছেন, তাঁকেও বলবো। নির্বাচন কমিশনকেও বলবো। জানি এখনও অযোধ্যা সীমান্ত সিল হয়নি। অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হোক। অবাধ স্বচ্ছ নির্বাচন হলে বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে। দাবি মমতার।
হিন্দিতে কথা বললেই তাঁরা বাইরের লোক। সবাই নয়, আমাদের যাঁরা হিন্দিভাষী তাঁদের সম্মান করি। আমরা বলছি ১৫ লক্ষ টাকা দাও , নইলে তুমি ফিরে যাও। ৫০০ টাকা ক্যাশ চাই না বিনা পয়সায় গ্যাস চাই। যা দেবে নিয়ে নেবেন। চোরেদের একটাও ভোট দেবেন না। বললেন মমতা।
দুর্গাপুজো করুক, কালী পুজো করুক, বিজেপি পুজো হবে না। ওরা দাঙ্গা করে। দাঙ্গা পুজো হবে না। আগামিদিনে ছাত্রছাত্রীদের ক্রেডিট কার্ড করে দেব। তাঁরা বাইরে পড়াশোনা করতে যেতে পারবেন। কাশীপুরে জনতাকে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আমার সরকার বানাতে হলে কে ভাল কে দেখতে হবে না। আমি দেখে নেব। যদি আপনারা আমায় বিশ্বাস করেন তবে আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে। প্রার্থীরা না জিতলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসবে না। জনতাকে বার্তা মমতার
রঘুনাথপুরে তৈরি হচ্ছে জঙ্গলমহল সুন্দরী। বিরাট বড় প্রকল্প। ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। আর বাইরে যেতে হবে না পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েদের। বললেন মমতা।
জয়পুরের নির্দল প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিচ্ছি, ওঁকে ভোট দেবেন। দিতলে তৃণমূলে যোগদান করবেন। জিতলে পুরুলিয়ার ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে ১ বছরের মধ্যে জল পৌঁছে দেব। বললেন মমতা।
ব্রিগেডেও এতবড় জনসমাগম দেখিনি। আদিবাসীদের জমির অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। বিজেপি রেলকে বিক্রির চক্রান্ত করছে, বলছে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দাও, কোল ইন্ডিয়া বন্ধ করে দাও। তাহলে কাশীপুরের মানুষ যাবেন কোথায়? রেলকে বেসরকারিকরণ করতে দেব না। কাশীপুরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাইরে যাঁরা আছেন তাঁদের এসে ভোট দিতে বলুন।কারণ ভোট না দিলে বিজেপি এনপিআর করে নাম বাদ দিয়ে দেবে। আমি এনপিআর হতে দবে না। তাঁদের বাইরে থাকতে হবে না। আমরা এখানে কাজ করে দেব। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চায়ে বিষ মিশিয়ে দেবে, বিজেপির খাবার খাবেন না। মা বোনেরা বিজেপির থেকে সাবধান। স্টেনগান থেকে সাবধান, দুর্যোধন থেকে সাবধান, দুঃশাসন থেকে সাবধান। বললেন মমতা।
টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। ঝাড়খন্ডে হেরেছে, এখানেও হারবে, পুরোপুরি হারবে। মনে রাখবেন খেলা হবে। মা বোনেদের আঘাত করলে হাতা খুন্তি ধামসা মাদল নিয়ে তেড়ে যাবেন। বলবেন চোখ রাঙাবি না। জনতাকে বার্তা মমতার।
৫ লক্ষ কোটি টাকা স্মল স্কেলে ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ, দারিদ্রতা ৫০ শতাংশ কমিয়ে এনেছি। আরও ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেব। আমার ধামসা মাদল, ছৌ নাচ, করম উৎসব, জাহের থান, ণাজির থান বানিয়ে দিচ্ছি। ১৮ বছর বয়স থেকে বিধবা ভাতা পাবেন। আরও কাজ হবে। বললেন মমতা।
বাড়িতে কারও একজনের কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে সবাই ১ সপ্তাহের মধ্যে পাবেন। আপনারা বিনা পয়সায় রেশন চান? তাহলে আমাদের ভোট দিতেই হবে। এবার আমার জিতলে তপশিলি মা বোনেরা ১ হাজার টাকা করে হাত খরচা পাবেন। জেনারেলরা ৫০০ টাকা করে পাবেন।
ঝাড়খন্ডে বিজেপির সরকার আদিবাসীদের জমির অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, আমি এখানে আদিবাসীদের জমির অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। আমার সবার জন্মদিন পান করি। আর বিজেপির নেতারা এসে বিরসা মুন্ডা বলে অন্যের মূর্তিতে মালা দিয়ে চলে যায়। বিজেপি পার্টিতে মেয়েদের কোনও সম্মান নেই। বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কেউ অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন? বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা মীরজাফরের দল, গদ্দারের দল। আক্রমণ মমতার।
২৫ হাজার হেক্টর জমি নির্বাচন করা হয়েছে, যেখানে কোনও দিন চাষ হত না। সেই জমিতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে জলস্বপ্ন প্রকল্প করছি। আমার মাটিসৃষ্টি পরিকল্পনা করছি। এতে ১০০ দিনের কাজ হয়তো ২০০ দিনের হয়ে যাবে। পারায় বললেন মমতা।
পারা রঘুনাথপুর অঞ্চলে ৩টি জল প্রকল্প হয়েছে। আগে এখানে ১৯ শতাংশ মানুষ জল পেত। জাইকা জলের প্রকল্প হয়ে গেলে পুরুলিয়ায় ৮ লক্ষ মানুষ জলের সংযোগ পাবেন। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ দুই মেদিনীপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেশপুর ও চন্দ্রকোনায় জনসভা এবং কাঁথিতে রোড শো করবেন তিনি।