scorecardresearch
 

'সেতু চাই,' দাবি তুলে রায়গঞ্জে ভোট বয়কট করল গোটা গ্রাম

এলাকায় নেই সেতু। বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও লাভ হয়নি। তাই অবশেষে ভোট বয়কট করে শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করলেন পথেই গেলেন হেমতাবাদ বিধানসভার শেরপুর লাইনপাড়ার ১০৯৮ এর ভোটার।

Advertisement
ভোট বয়কটে গ্রামের বাসিন্দারা ভোট বয়কটে গ্রামের বাসিন্দারা
হাইলাইটস
  • সেতু না পেলে আর ভোট নয়
  • ভোট বয়কট করলেন প্রায় ১১০০ ভোটার
  • প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুরোধেও কাজ হয়নি

বুধবারই ভোটকর্মীরা ইভিএম সহ ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বুথে। এদিন নিয়ম মেনে সকালে উঠে আর পাঁচটা কেন্দ্রের মতো ভোট নেওয়ার প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছিলেন। কিন্তু বেলা গড়ালেও ভোটকেন্দ্রের আশপাশে লোকজনের জটলা দেখতে পেলেও ফভেোাট দিতে কেউ আসছে না কেন, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যান তাঁরা। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের ছুটির মেজাজে রেখে ভোট বয়কট করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

কি দাবি

'সেতু চাই,' দাবিতে রায়গঞ্জের একটি বুথে ভোট বয়কটের পথে হাঁটলো গ্রামের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দারা ভোট বয়কটের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিবাদ, প্রশাসন ও সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে চান বলে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন। জোলাশাসক, বিডিও সকলেই তাঁদের কাছে দফায় দফায় গিয়ে অনুরোধ জানালেও তাঁদের সিদ্ধান্তে নড়চড় হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

কোন বুথে ভোট বয়কট

রায়গঞ্জ শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে হেমতাবাদ বিধানসভার শেরপুর লাইনপাড়ার বুথ নম্বর ১২৯/১২৯এ-এর মোট ১০৯৮ এর ভোটার, এদিন সারাদিন বুথের চারদিকে ঘুরে বেড়ালেও ভোটকেন্দ্রের দিকে পা মাড়াননি। বরং কেউ গ্রামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোট দিতে যাচ্ছেন কি না, তা নজরদারি করেছেন সারাদিন। বুথের চারদিকে ভোটের পরিবেশ অবশ্য ছিল ষোলোআনা কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি ছিল বুথে। তবে এদিন অবসর কাটানো ছাড়া বাহিনীর কিছু করার ছিল না।

মূল সমস্যা

খলসি গ্রাম রায়গঞ্জ শহরের কাছে হলেও বিধানসভা এলাকা হেমতাবাদের মধ্যে পড়ে। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী। এই কুলিক নদী খলসি, মেহেন্দিগ্রাম, শেরপুর, দক্ষিন শেরপুর, খোকসা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। শুখা মরশুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার সময় নদীতে জল বাড়লে সাঁকো খুলে ফেলতে হয়। নতুবা সাঁকো ভেঙে যায়। তখন ১৫ মিনিটের পথে যেতে এক ঘন্টা লাগে। এলাকার মানুষকে ঘুরপথে রায়গঞ্জ শহরে যেতে হয়। প্রতিবার ভোটের আগে সব রাজনৈতিক দল এসে সেতু তৈরিকে ইস্যু করে ভোট চায় বলে গ্রামের লোকের অভিযোগ। কিন্তু ভোট চলে যাওয়ার পর সেতু তৈরিতে কেউ উদ্যোগ নেয় না বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যে কারণে এ বছর ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, আর কথায় ভুলব না আমরা। ভোট নিতে হলে সেতু তৈরি করে তারপর গ্রামে আসতে হবে নেতাদের। 

Advertisement

 

Advertisement