হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া বিধানসভা। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে ঘাসফুলের প্রবল ঝড়ের মধ্যেও জেলার একমাত্র পাণ্ডুয়া আসনেই জয় পেয়েছিল সিপিআইএম। ২০১১ সালেও এই আসন ছিল সিপিআইএম-এর দখলে। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে অবশ্য কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভা আসনে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। পরাজিত হন তৃণমূলের ১০ বছরের সাংসদ রত্না দে নাগ (Ratna De Nag)। সেই নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলেও পান্ডুয়ায় প্রতিপক্ষ দলগুলির চেয়ে এগিয়ে যায় গেরুয়া শিবির। এবার সেই পাণ্ডুয়াতেই (Pandua) তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রত্না দে নাগ। আগামী ১০ তারিখ ভোট ওই কেন্দ্রে। তার আগে আজতক বাংলার সঙ্গে কথা বললেন পাণ্ডুয়ার তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ।
আজতক বাংলা - ভোটের হাওয়া কেমন মনে হচ্ছে?
রত্না দে নাগ - "জিতব বলেই মনে হচ্ছে।"
একসময় সাংসদ ছিলেন, চেনা এলাকা, সাড়া কেমন পেয়েছেন?
"ভাল সাড়া পেয়েছি, মিছিল করেছি, খুবই বেশি সাড়া পেয়েছি।"
গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল, সেখান থেকে কী মনে হচ্ছে, জিততে পারবেন?
"গত লোকসভা ভোটে পাণ্ডুয়ায় আমরা মাত্র ৭০৫ ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। আমার মনে হয় সেই ব্যবধানটা আমরা পূরণ করতে পারব।"
জেলায় বিজেপির পালে হাওয়া রয়েছে, সেই দিক থেকে লড়াইটা কি আগের চেয়ে আরও বেশি কঠিন লাগছে?
"কোনও লড়াই সহজ নয়, সমস্ত লড়াই কঠিন।"
জিতলে পাণ্ডুয়ার জন্য প্রথম কোন কাজে হাত দেবেন?
"এখানে জলের সমস্যা রয়েছে। জিতলে সেই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটাই প্রথমে চেষ্টা করব।"
দেশে ফের করোনা বাড়ছে, আপনি নিজেও চিকিৎসক, প্রচারে কোভিড বিধি মানছেন?
"আমি সবসময় মাস্ক পরছি, অনেকেই পরছেন। সবাইকে মাস্ক পরতে ও দূরত্ব বজায় রাখতেও বলছি। তবে কেউ যদি মাস্ক না পরেন তাঁকে তো জোর করতে পারি না!"
জয় নিয়ে কতটা আশাবাদী?
"জয় নিয়ে খুবই আশাবাদী। যেভাবে সাড়া পেয়েছি তাতে জয় আমাদের হবে বলেই মনে হচ্ছে।"