scorecardresearch
 

EXCLUSIVE : রঙবেরঙের ফুল না, ভিক্টরকে টাকার মালা পরিয়ে দিচ্ছে চাকুলিয়া!

তবে উত্তর দিনাজপুরের প্রত্যন্ত এই এলাকায় দেখা যাচ্ছে অন্য় এক ছবি। আর কোনও প্রচারের সঙ্গে মেলানো বেশ মুশকিল। এখানে প্রার্থীকে মালা পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তা রঙবেরঙের ফুলের নয়।

Advertisement
সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ফরওয়ার্ড ব্লকের চাকুলিয়ার প্রার্থী আলি ইমরান রামজ সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ফরওয়ার্ড ব্লকের চাকুলিয়ার প্রার্থী আলি ইমরান রামজ
হাইলাইটস
  • ভোটের প্রচারে কতই না দৃশ্যের জন্ম হয়
  • প্রার্থী প্রচারে গেলে তাঁকে দেখে ফুল ছুড়ে দেন সমর্থকেরা
  • কোথাও আবার প্রার্থীদের দিকে চায়ের কাপ, ভাঁড় এগিয়ে দেন এলাকার মানুষ

ভোটের প্রচারে কতই না দৃশ্যের জন্ম হয়। প্রার্থী প্রচারে গেলে তাঁকে দেখে ফুল ছুড়ে দেন সমর্থকেরা। এমন ছবি হামেশাই দেখা যায়। রোড শো-তে আবার উল্টো ছবি। সেখানে প্রার্থী থেকে দলের নেতার ফুল ছুড়ে দেন সমর্থকদের দিকে।

কোথাও আবার প্রার্থীদের দিকে চায়ের কাপ, ভাঁড় এগিয়ে দেন এলাকার মানুষ। আর তারকা প্রার্থী হলে তো কখাই নেই। সেলফি তোলার হিড়িক লেগে যায় যান। আগে ছিল অটোগ্রাফ। এখন তার জায়গা নিয়েছে ছবি।

তবে উত্তর দিনাজপুরের প্রত্যন্ত এই এলাকায় দেখা যাচ্ছে অন্য় এক ছবি। আর কোনও প্রচারের সঙ্গে মেলানো বেশ মুশকিল। এখানে প্রার্থীকে মালা পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তা রঙবেরঙের ফুলের নয়। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে টাকার মালা। আবার অনেক জায়গায় স্থানীয় মানুষজন তুলে তাঁর প্রচারের সুবিধার জন্য টাকা তুলে দিচ্ছেন খোদ প্রার্থীকে। কেউ ১ টাকা, তো কেউ ৫ টাকা।

তিনি সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ফরওয়ার্ড ব্লকের চাকুলিয়ার প্রার্থী আলি ইমরান রামজ। তাঁর ডাকনাম ভিক্টর। তাঁর বাবা, কাকাও বিধায়ক ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগযোগ দীর্ঘদিনের।

চাকুলিয়ার ধামিশা, চাকুলিয়া বাজার গিয়েছিলেন প্রচারে। সেখানকার সবজি বিক্রেতারা তাঁকে তুলে দিচ্ছেন টাকা। যে যাঁর সাধ্য মতো দিচ্ছেন, কেউ ১ টাকা, কেউ ২ টাকা দিচ্ছেন। আবার কেউ টাকার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন।

ফরওয়ার্ড ব্লক নেতারা বলছেন, তিনি ওই এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। ভোটে লড়তে অনেক খরচ লাগে। সেটা মানুষ জানেন। সেই টাকা দল বা প্রার্থীর কাছে আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে মানুষের। তিনি যেন জিতে আশেন, তাই মানুষ তাকে সাহায্য করছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে তো টাকা উড়ছে। অনেকে আবার টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবতি করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। সেখানে মানুষ নিজের টাকা দিয়ে ভিক্টরকে ভোটে লড়াচ্ছেন। এটা বড় নিদর্শন। নির্বাচনের মডেল হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, মানুষ জানেন টাকার প্রয়োজন হয়। মনোনয়নপত্র জমা দিতে লাগে। সেই টাকা কোথায় পাবেন? তিনি যাতে ভোটে লড়তে পান, তাই মানুষ এগিয়ে এসেছেন।

নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙছে না এই ঘটনায়? সুদীপের দাবি, মানুষের পয়সায় জনপ্রতিনিধি তৈরি হচ্ছেন। এটাই মাপকাঠি হওয়া উচিত। এ তো কমিশনের কাছে নিদর্শন হওয়া দরকার। 

তাঁর বাবা মহম্মদ রামজান আলি ছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে ৪ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভিক্টর ২০০৯ সালে সেখান থেকে উপনির্বাচনে লড়েন এবং জেতেন। এরপর ২০১১ সালে পরিবর্তনের ভোটে লড়েছিলেন চাকুলিয়া থেকে। এখন তিনি সেখানকারই বিধায়ক।

ভিক্টরের কাকা, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হাফিজ আলম সাইরানি গোয়ালপোখর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তিনি বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন। ২০১১ সালে বিধানসভার কনিষ্ঠতম সদস্য ছিলেন ভিক্টর।

 

Advertisement