দীর্ঘদিন বামপন্থী রাজনীতি করেছেন। শিলিগুড়ির (Siliguri) বামপন্থী যুব নেতৃত্বের অন্যতম ছিলেন তিনি। এমনকী শোনা যায় তাঁকে দেখেই বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনে সামিল হয়েছিলেন অনেকে। রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পাশাপাশি শিলিগুড়ির মেয়র পারিষদের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এহেন বামপন্থী নেতাই কিছুদিন আগে শিবির বদলে গিয়েছেন বিজেপিতে। নতুন দলে গিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) প্রার্থীও হয়েছেন। তিনি শঙ্কর ঘোষ (Sankar Ghosh)। কেন তাঁর দলবদল, বা জিতলে আগামীদিনে শিলিগুড়িকে নিয়ে তাঁর কী পরিকল্পনা, সেই সমস্ত কিছু নিয়ে কথা বললেন আজতক বাংলার সঙ্গে।
আজতক বাংলা - শিলিগুড়ির রাজনৈতিক হাওয়া কেমন বুঝছেন?
শঙ্কর ঘোষ - "মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততাই বিজেপির জয়ের প্রধান কারিগর। সেটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।"
দীর্ঘদিন বামপন্থী রাজনীতি করেছেন, সেই সময় আপনাকে দেখে অনেকে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনে এসেছেন, দল বদলানোর পর তাঁদের সমর্থন পাবেন?
"সিদ্ধান্তটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ছিল। যন্ত্রণাটাও একান্তই ব্যক্তিগত। যন্ত্রণাটা স্পষ্টভাবে না বলেও বলছি, যখন অভিভাবকদের প্রতি শ্রদ্ধার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়, তখন তাঁদের হাত ধরে চলাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বাকিটা যাঁরা আমায় চেনেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।"
কেউ কেউ বলেন অশোক ভট্টাচার্য আপনার 'রাজনৈতিক গুরু', তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই, সেটা সহজ না কঠিন?
"২০১১ পর্যন্ত যতদিন তিনি মন্ত্রী ছিলেন ততদিন এই রাজনৈতিক গুরু শব্দটা শুনিনি। যখন ক্ষমতা চলে গেলে, আন্দোলনে মুখের অভাব ছিল, সেই সময় আমরা আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকতাম। তিনি সেই সময় আমার নেতৃত্ব ছিলেন, একসঙ্গে কাজ করেছি। পরে তিনি বিধায়ক ও মেয়র হন। ২০১১ থেকে তাঁর কাছাকাছি কাজ করেছি, পুরগনিগমে কাজ করতে গিয়েও তাঁর কাছ থেকে শিখেছি।"
আপনার হাতে চে-এর ট্যাটু, সেই নিয়ে বিজেপি করছেন, নিজের কাছে কেমন লাগে?
"একটুও খারাপ লাগে না। এটা তো আমার কাছে অলঙ্কার নয়। তিনি শিখিয়েছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সিস্টেম ভাঙা, নতুন রাস্তায় চলা। সেভাবেই তো এগিয়েছি। কাউকে অসম্মান করিনি, কটু কথা বলিনি। সমস্যাটা কোথায় তা তো বুঝতে পারছি না!"
জিতলে শিলিগুড়ির উন্নয়নের জন্য কীভাবে এগোবেন?
"গুরুত্বের প্রশ্নে আগামিদিনে শিলিগুড়ি দিল্লির দরবারে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু থাকবে। শিলিগুড়ি আসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন। উত্তরবঙ্গের অনেক মানুষ ফেসবুকে পোস্ট করেন যে তাঁরা মঞ্চে বসতে পারেন না, মাঠে থাকেন। উত্তরবঙ্গ আগামিদিনে মঞ্চে থাকবে, মাঠে নয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মানুষের সঙ্গে কাজ করতে ভালবাসি।"
প্রচারে কোভিড বিধি মানছেন?
"নিজে চেষ্টা করি, বলারও চেষ্টা করি। তবে এটা সত্যি আমি উপলব্ধি করি যে, মুখে যতই বলা হোক না কেন, প্রত্যেকেই যে সমভাবে মানছেন তেমনটা হচ্ছে না।"