পঞ্চম দফা নির্বাচনের প্রচার শেষ। আগামী ১৭ তারিখ ভোটগ্রহণ হবে ৬ জেলার মোট ৪৫টি আসনে। এই দফায় নির্বাচন রয়েছে নদিয়াতেও। ওই জেলার মোট ৮টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। যার অন্যতম রানাঘাট উত্তর পশ্চিম (Ranaghat Uttar Paschim)। এই আসনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস থেকে ঘাসফুল শিবিরে যাওয়া শঙ্কর সিংহ (Shankar Singha)। ২০১৬ সালেও ওই আসনে জিতেছিলেন শঙ্করবাবু। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এলাকার বিদায়ী বিধায়কও তিনিই। অন্যদিকে এবার শঙ্কর সিংহের প্রধান প্রতিপক্ষ সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় (Partha Sarathi Chatterjee)। এলাকার কেউ কেউ বলেন পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গুরু হলেন শঙ্কর সিংহ। সেইদিকে থেকে দেখতে গেলে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম আসনে এবার হতে চলেছে গুরু-শিষ্যের লড়াই।
ইতিহাস বলছে গত দশবছরে অনেক রাজনৈতিক উত্থান পতনের সাক্ষী থেকেছে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম আসন। ২০১১ সালে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়ায় এই আসনে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০১৬ সালে সেই আসনটি হাত ছাড়া হয় তৃণমূলের। সেই বছর আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে লড়েছিল বাম ও কংগ্রেস। নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম আসনে জয়ী হন শঙ্কর সিংহ। যদিও পরবর্তীকালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন শঙ্করবাবু। অন্যদিকে দীর্ঘদিন তৃণমূলে থাকার পর এই নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা সভা নির্বাচনে রাজ্যে যে কটি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি তারমধ্যে ছিল রানাঘাটও। নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা আসনে জয়ী হন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। সেই নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখেও রানাঘাটা উত্তর পশ্চিম আসনে বিজেপির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এবারেও প্রার্থী করা হয়েছে জগন্নাথ সরকারকে। তবে তিনি অবশ্য লড়ছেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্ররই অন্তর্গত শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। আর রানাঘাট উত্তর পশ্চিম আসনে মুখোমুখি শঙ্কর সিংহ ও পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন বিজয়েন্দু বিশ্বাস। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কে হাসেন জয়ের হাসি।