বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার পরে এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় টার্গেটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুরে আজ কর্মসূচি রয়েছে শোভন-বৈশাখীর। বিকেলে শোভন-বৈশাখীর মেগা শো শুরু হবে বিষ্ণুপুর থেকে। আমতলা কলোনি মাঠ পর্যন্ত চলবে মেগা শো। তার পরে সেখানে একটি জনসভা রয়েছে তাঁদের। এই জনসভা থেকে আজ পুরনো দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন কিনা তারা, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
শোভন-বৈশাখী আজ ডায়মন্ড হারবারে
বিজেপিতে প্রায় দেড় বছর আগে যোগ দেন শোভন ও বৈশাখী। কিন্তু তার পর থেকে দলের কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি এই দুজনকে। চলতি মাসের শুরুতে বিজেপির হয়ে প্রথমবার কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শোভন ও বৈশাখীর। কিন্তু দিনভর জল্পনার শেষে তাদের দুজনকে সেই মিছিলে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এরপরেই বিজেপির কার্যালয়ে শোভন ও বৈশাখীর জন্য বরাদ্দ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টা পরে মুখ খোলেন বৈশাখী। মিছিলে না আসার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। বৈশাখীদেবী জানান, শারীরিক অসুস্থতার জেরে তিনি মিছিলে অংশ নিতে পারেননি। বাড়িতে দেখাশুনা করার মতো একমাত্র শোভনবাবুই ছিলেন। ফলে তিনিও আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন, ডায়মন্ডহারবারে পা রাখছেন শোভন, 'দাঁত ফোটাতে' পারবেন অভিষেকের দুর্গে ?
এরপরেই আচমকা শোভনবাবুর বাড়িতে দেখা যায় ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারকে। এই দীপকই একদা ঘাসফুলে বেসুরো হয়েছিলেন, এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও দেখা যায়নি তাকে। পরে বিজেপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে ফের বৈঠক করেন শোভনবাবু। ইতিমধ্যে কয়েকদিন আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদও দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। এর পরেই গত সোমবার বিজেপির হয়ে প্রথমবার কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায় শোভন-বৈশাখীকে।
সক্রিয় শোভন
ইতিমধ্যে হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসে এসে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শোভন। সেখানে পরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দলের আগামী দিনের একাধিক কর্মসূচির কথাও জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন এই মেয়র। বিজেপির তরফে কলকাতা জোন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শোভনকে। এই জোনে রয়েছে ৫১টি বিধানসভা।