scorecardresearch
 

মেগা শো হয়ে গেল দক্ষযজ্ঞ! বক্তৃতা না দিয়েই সভায় ইতি শুভেন্দুর

নন্দীগ্রামের সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদেন এনে এদিন চমক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভায় শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়৷ গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটদের সভা চলাকালীন ইট-পাটকেল পড়ার সঙ্গে চোর চোর স্লোগানও ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি-র জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক।উচ্চৈস্বরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। যাতে গলা মেলান মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্যরাও। গত কয়েকদিন ধরেই মেদিনীপুর জেলা জুড়ে যোগদান মেলা করছেন শুভেন্দু। তাঁর চ্যালেঞ্জ চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে গোটা চিত্র বদলে দেবেন জেলরা। তবে এদিন মেগা যোগদান মেলা হল্লার চোটে মিউয়ে যায়। শুভেন্দু মেগা শোয়ে ঝামেলার জন্য তৃণমূলকে নিশানা করলেও তাঁর পুরনো দলের যুক্তি অবশ্য আলাদা।

Advertisement
হাইলাইটস
  • তৃণমূলনেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেই নন্দীগ্রামের সভা ডেকেছিলেন শুভেন্দু
  • সভায় হাজির ছিলেন গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতারাও
  • কিন্তু চরম বিশৃঙ্খলায় মাঝপথেই কেটে গেল সব তাল

১ লক্ষ অনুগামী ও সমর্থককে নিয়ে নন্দীগ্রামে সভা করবো, চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবারের মেগা শোতে ভিড়ও উপচে পড়েছিল ভালই। কিন্তু যিনি সভার মূল উদ্যোক্তা তিনি শেষ পর্যন্ত বক্তব্য রাখলেন না। মাঝপথেই শেষ করতে হল ভারতীয় জনতা পার্টির বিশাল জনসভা। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। মঞ্চে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েট নেতা। কে নেই তাতে, একদিকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজববর্গীয়, অন্যদিকে মুকুল রায়, আরেক দিকে দিলীপ ঘোষ, আর সবার উপরে তো রয়েইছেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু। কিন্তু হেভিওয়েটরা মঞ্চে পৌঁছতেই তাল কাটতে শুরু করে। সভা চলাকালীন দলীয় কর্মীদের দিকে উড়ে আসে ইট, এমনটাই অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির। যার জেরে মাঝপথে বক্তৃতা থামিয়ে দিতে হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইক হাতে নেন শুভেন্দু। বলেন, আমাকে বিশ্বাস করেন তো! ১-২জন লোক সভা ভণ্ডল করতে এসেছিল।

ভোট দিতে দেয় না দল! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিতে এক হাজার তৃণমূলকর্মী

শুভেন্দুর আশ্বাসের পরেও অবশ্য সভা বেশিক্ষণ চালানো যায়নি। এতদিন নন্দীগ্রামে দিলীপ ঘোষের প্রবেশের বড় বাধা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দুই দলবদলের পর শপথ নিয়েছেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিলে গোটা মেদিনীপুরকে তৃণমূল মুক্ত করবেন। তাই এই প্রথম নন্দীগ্রামে দিলীপ ঘোষকে ‘সাদর অভ্যর্থনা’ জানানোর ব্যবস্থা করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সভার তাল মাঝপথেই কেটে গেল। কৈলাসের পর মঞ্চে ওঠেন দিলীপ। আগামী মে মাসেই রাজ্য থেকে তৃণমূল ভাইরাস বিদায়ের ডাকও দেন দিলীপ। কিন্তু যার জন্য অপেক্ষায় ছিল নন্দীগ্রাম। সেই শুভেন্দুই মঞ্চে উঠে বলেন তিনি এদিন মূল বক্তা নন। আগামী ১৯ তারিখ খেজুরির সভাতেই নিজের বক্তব্য রাখবেন বলে সভা শেষ করে দেন।

ঘাসফুলে বিদ্রোহের ছাইচাপা আগুন, মেদিনীপুরের পর হাওড়ায় শাহ'র সভায় থাকবে চমক?

নন্দীগ্রামের বিজেপির সভায় বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এত বছর সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সিপিএম কিন্তু কখনও তৃণমূলের মিছিলে ঢিল ছোড়েনি! আর এখন পরিস্থিতি দেখুন। সভা চলাকালীন এলোপাথাড়ি ঢিল পড়ছিল। যাতে সভা ভণ্ডুল হয়ে যায়।" দলীয় কর্মীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন সেজন্য সবাই সভাস্থল থেকে না বেরোন পর্যন্ত আরও একঘণ্টা মঞ্চের পিছনে অপেক্ষায় থাকবেন বলে জানান শুভেন্দু।

Advertisement

নন্দীগ্রামের সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদেন এনে এদিন চমক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভায় শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়৷ গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটদের সভা চলাকালীন  ইট-পাটকেল পড়ার সঙ্গে  চোর চোর স্লোগানও ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি-র জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক।উচ্চৈস্বরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। যাতে গলা মেলান মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্যরাও। গত কয়েকদিন ধরেই মেদিনীপুর জেলা জুড়ে যোগদান মেলা করছেন শুভেন্দু। তাঁর চ্যালেঞ্জ চলতি মাসের  ৩০ তারিখের মধ্যে গোটা চিত্র বদলে দেবেন জেলরা। তবে এদিন মেগা যোগদান মেলা হল্লার চোটে মিউয়ে যায়। শুভেন্দু মেগা শোয়ে ঝামেলার জন্য তৃণমূলকে নিশানা করলেও তাঁর পুরনো দলের যুক্তি অবশ্য আলাদা। তৃণমূল ভাঙিয়ে ‘মেগা যোগদান মেলা’মেনে নিতে পারছেন না বিজেপির নীচুস্তরের কর্মীরা। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ আজ নন্দীগ্রামের সভায় দেখেছেন গেরুয়া নেতারা। তবে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু এই সভা ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করেই। কথা ছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে আসবেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও সেই পরিকল্পনা পরে বদলে যায়। এই আবহে ১৮ জানুয়ারি সভা করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। তারই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১৯ জানুয়ারি খেজুরিতে পাল্টা সভার কথা ফের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন শুভেন্দু। ফের একবার দাবি করলেন প্রাক্তন নেত্রীর সভার জবাব সেই মঞ্চ থেকেই দেবেন। 

 

Advertisement