scorecardresearch
 

ইস্তফা দিয়েই জিতেন্দ্রর সঙ্গে বৈঠক, সাংসদের বাড়িতে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বসলেন শুভেন্দু

তবে একা জিতেন্দ্র তিওয়ারিই নন, তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়ি দেখা মিলল দলের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতার। যাঁদের মধ্যে ছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরী। ছিলেন গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ও। সুনীলের বাড়িতে বিক্ষুব্ধদের ভিড়ে হাজির ছিলেন বিভিন্ন জেলার অনেক নেতা। স্লোগান ওঠে জয় শ্রীরাম।

Advertisement
দলীয় সাংসদের বাড়ি দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন শুভেন্দু-জিতেন্দ্র দলীয় সাংসদের বাড়ি দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন শুভেন্দু-জিতেন্দ্র
হাইলাইটস
  • বিধানসভায় ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে পানাগড়ে শুভেন্দু
  • দলীয় সাংসদের বাড়ি দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন
  • সেখানে দেখা মিলল আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিরও

বুধবার স্করপিও গাড়িতে করে বিধানসভায় ইস্তফাপত্র জমা দিতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে তিনি কী করেন সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু তিনি জল্পনা জিইয়ে রাখলেন। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু স্করপিও গাড়িতে উঠতেই শুরু হয় আলোচনা। কোথায় যাচ্ছেন নন্দীগ্রামের বেতাজ বাদশা। গাড়ি কী সোজা এয়ারপোর্টে যাবে? সেখান থেকে দিল্লির বিমান ধরবেন শুভেন্দু! এমন গুঞ্জনও ভেসে আসছিল। তবে শুভেন্দু গেলেন পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে। সেখানেই বর্ধমান পূর্বের সাংসদের বাড়িতে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু। সেই জিতেন্দ্র যাকে নিয়ে গত দু'দিন ধরে তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। যার মান ভাঙাতে উত্তরবঙ্গ থেকে এদিন স্বয়ং ফোন করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ায়ের ফোন পাওয়ার পরেও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ককে দেখা গেল শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। 

নতুন সমীকরণ! শুভেন্দুর ইস্তফার দিনেই বিজেপিতে রাজীবের আত্মীয়া

তবে একা জিতেন্দ্র তিওয়ারিই নন, তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়ি দেখা মিলল দলের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতার। যাঁদের মধ্যে ছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরী। ছিলেন গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ও। একসময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন দীপ্তাংশু। এবার ফের কি তিনি পুরনো দলে ফিরতে চান, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা রয়েছে। এদিকে এদিনই শুভেন্দু পানাগড়ে আসার আগে ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে। টিম পিকে আর তার আই প্যাক বাহিনি ঠিক করে দেবে নাকি আমি কি রঙের জামা পরবো? এভাবেই বিদ্রোহের সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদকে।

আড়াই দশকের সম্পর্কে দমবন্ধ করা ২০ দিন! কেমন ছিল শুভেন্দুর সফর

এদিকে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সম্প্রতি মাতৃবিয়োগ হয়েছে। সেই কারণেই শুভেন্দু সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা নেহাতই সামাজিক কারণ বলছে শুভেন্দু শিবির।  এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক নেই বলেই দাবি করা হচ্ছে। তবে এদিন সন্ধ্যায় দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে শুভেন্দুর দেড় ঘণ্টার বৈঠকে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সেখানে জিতেন্দ্র তিওয়ারির উপস্থিতি বিষয়টিতে আরও রং লাগিয়েছে। বিশেষ করে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন  আসানসোল পুরনিগমের বেশ কয়েক জন বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েক জন তৃণমূল যুবনেতাও। 

Advertisement

এদিকে শুভেন্দু কাঁকসায় সুনীল মণ্ডলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ না খুললেও বিস্ফোরক ছিলেন সাংসদ নিজে। দলের নেতাদের বিদ্রোহী হওয়ার পেছনে দলের নেতৃত্ব ও টিম পিকেকই দায়ি করেন সুনীল। সূত্রের খবর, সুনীলের বাড়িতে বিক্ষুব্ধদের ভিড়ে হাজির ছিলেন বিভিন্ন জেলার অনেক নেতা। স্লোগান ওঠে জয় শ্রীরাম। ইস্তফার দিনই শুভেন্দুর এই বৈঠক  পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাজনীতির সমীকরণ কি বদলাতে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তবে এর উত্তর অবশ্য় সময়ই দিতে পারবে। আর বঙ্গ রাজনীতির  নয়া সমীকরণ বুঝতে আর হয়তো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে। 


 

Advertisement