scorecardresearch
 

'আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে', অধিকারীরাও বিজেপিতে-ইঙ্গিত শুভেন্দুর !

পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলনেত্রীর জনসভা হোক অথবা কাঁথিতে সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের মিছিল, কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের সদস্যদের। যা নিয়ে ক্রমেই বাংলার রাজনীতিতে বাড়ছিল জল্পনা। আর এই আবহেই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। খড়দার জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন আগামী দিনে আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়েই এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে।

Advertisement
Suvendu Adhikari Suvendu Adhikari
হাইলাইটস
  • অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের ভবিষ্যত কোন পথে?
  • খড়দার জনসভায় নতুন ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু
  • হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও পদ্ম ফোঁটানোর চ্যালেঞ্জ

পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলনেত্রীর জনসভা হোক অথবা কাঁথিতে সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের মিছিল, কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের সদস্যদের। যা নিয়ে ক্রমেই বাংলার রাজনীতিতে বাড়ছিল জল্পনা। আর এই আবহেই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। খড়দার জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন আগামী দিনে আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়েই এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে।

গ্রেফতার না হলে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও, ১৭ জনের তালিকা দিয়ে হুঁশিয়ারি বিজেপির


গত ৭ ডিসেম্বর শুভেন্দু তখন মন্ত্রীত্ব ছাড়লেও দল ছাড়েননি সেই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে জনসভা করতে এসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। দলের নির্দেশ ছিল দুই মেদিনীপুরের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদের উপস্থিত থাকার। কিন্তু সবাইকে অবাক করেই সেদিন সভামঞ্চে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকে। শারীরিক অসুসস্থতার কারণে তিনি সভায় হাজির থাকতে পারবেন না জানিয়েছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। অন্যদিকে শুভেন্দুর ভাই তথা তৃণমূলের আরেক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকেও দেখা যায়নি তৃণমূলনেত্রীর জনসভায়। জানা গিয়েছিল সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন তিনি। অধিকারী পরিবার কোন পথে হাঁটবে তা নিয়ে তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়। 

সৌরভকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে কী করতে হবে? জবাব দিলেন দিলীপ

এরপর শুভেন্দু তৃণমূলে যোগ দিতেই গত সপ্তাহে কাঁথিতে জনসভা করে তৃণমূল। অধিকারী পরিবারের মন বুঝতেই নাকি সেদিন ঘাসফুল শিবির এই জনসভার আয়োজন করেছিল বলে খবর। কিন্তু সেবারও তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কাউকে। শিশিরবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ। আর শুভেন্দুর দুই ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ও সৌম্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন তারা নাকি আমন্ত্রণ পাননি। সেদিন সভামঞ্চ থেকেই সৌগত রায় বলেছিলেন, 'আজকের মিছিল থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়।' শুভেন্দুকে নিয়ে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব যে দলের ক্রমেই বাড়ছে সেদিন আরও স্পষ্ট হয়ে গেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুভেন্দুর বিজেপিতে গমন নিয়ে  অধিকারী পরিবারের কাউকেই তেমন ভাবে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এর মধ্যেই মঙ্গলবার খড়দার জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্য়দের রাজনৈতিকক ভবিষ্যত নিয়ে নতুন করে জল্পনাকে উস্কে দিল। 

Advertisement
জল্পনার কেন্দ্রে অধিকারী পরিবার
জল্পনার কেন্দ্রে অধিকারী পরিবার

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রীতিমত ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু। প্রতিদিনি জনসভা করছেন তিনি। এদিনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। টিটাগড়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে রোড শো শুরু করে তিনি। উস্থিত ছিলেন, মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহও। মিছিল শেষে খড়দায় শুরু হয় জনসভা। সেখানেই শুভেন্দু একের পর এক হুঙ্কার ছুড়তে থাকেন পুরনো দলের দিকে। এরাজ্যে পিসি-ভাইপোর সরকার আর ফিরবে না ফের একবার শোনা যায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায়। বলেন মাঠে, নেমেছি তোমাদের হারাব বলেই। 

এরপরেই সেই ইঙ্গিতবাহী কথা শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। বলেন ,'আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে।' এমনকি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতেও তিনি ঢুকে পদ্ম ফোটাবেন এমন কথাও বলতে শোনা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। তার পুরনো দল যে বাংলাকে রসাতলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগন করেন  শুভেন্দু অধিকারী।  হুঙ্কার ছেড়ে শুভেন্দু বলেন, মানুষ পরিবর্তনের আরেকটা পরিবর্তন চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা পাড়ায় পাড়ায় সমাধানকে সরকারের  ভাঁওতাবাজির নতুন নাম বলেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্রকে। 

এদিকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকপদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীর এদিন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স থেকে অপসারিত করা হয়েছে সৌমেন্দুকে। শুভেন্দুর দলত্যাগের পরে সৌমেন্দুকে নিয়ে ‘সন্দেহ’ বাড়ছিল দলের অন্দরে। সেই থেকেই অপসারণ, বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এদিকে এদিন সৌমেন্দুর দাদার বক্তব্য গোটা অধিকারী পরিবারের রংবদল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
 

 

Advertisement