তৃণমূল (TMC) কর্মীকে খুনের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পুরশুড়ার (Pursurah) অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরশুড়ার প্রার্থী দিলীপ যাদব (Dilip Yadav)। ঘটনায় বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের কঠিন শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন দিলীপবাবু।
অভিযোগ, প্রথমে কানু দোলুই নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঘিরে ফেলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে তুলে যায় তারা। এরপর অত্যাচার চালিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর। কিন্তু পুলিশের পৌঁছতে দেরি হয় বলে অভিযোগ। এরপর আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। কানুবাবুর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। একই সঙ্গে নিজের ও ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের ভরণপোষনের চিন্তাও গ্রাস করেছে তাঁকে।
এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরশুড়ার প্রার্থী দিলীপ যাদব। তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি প্রশাসের কাছে দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন দিলীপ যাদব।
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই হুগলির খানাকুলের হরিশচকে এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। নুর শেখ আনোয়ার নামে ওই দলীয় কর্মীকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অ্যাসিড দিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পাশাপাশি ভোটের দিন গোঘাটে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতির মৃত্যু হয়। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, বিজেপি কর্মীরাই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন ওই বুথ সভাপতিকে।