ভোটের মুখে একের পর এক ঝড়! চারদিক দিক থেকে বেসুরো আওয়াজ তৃণমূলে। জেলায় জেলায় একাধিক বিধায়কদের প্রকাশ্যে বিদ্রোহ, হুঁশিয়ারি চলছেই। এই বিদ্রোহীদেরই একজন হলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তাঁর মান ভাঙাতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের দল। বিধায়ক সটান জানিয়ে দেন, দলের কেউ এলে ভাল হত। তিনি ভোটে লড়বেন না। আজ অর্থাত্ বুধবার একটি ফেসবুক পোস্ট করলেন শীলভদ্র। গেরুয়া রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডে লেখা, 'বন্ধু দেখা হবে।' এ দিন শীলভদ্রের ওই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পোস্টের রঙে। একেবারে গেরুয়া।
তৃণমূলে যে সব নেতারা প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শীলভদ্র দত্ত। শুভেন্দু অধিকারী নতুন কিছু করতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ইতিমধ্যেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। এর মাঝেই শীলভদ্রও জানিয়ে দেন, তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না। বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়িও। আগেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ওদিকে হুগলির আরেক বিধায় বেচারাম মান্নাও নানা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রশান্ত কিশোরের টিম হাজির হয়েছিল শীলভদ্রের বাড়িতে। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানান, তিনি রাজনীতির মানুষ। তাই কর্পোরেট সংস্থার প্রতিনিধি নয়, রাজনীতির মানুষদের সঙ্গেই কথা বলতে তিনি স্বচ্ছন্দ। দলের কেউ এলে ভাল হত। বিকেলেই বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বৈঠক শেষ করে তড়িঘড়ি শীলভদ্রের বাড়িতে ছোটেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও শীলভদ্রে দেখা তিনি পাননি।
এর আগে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সরাসরি নাম না নিয়ে শীলভদ্র বলেছিলেন, 'একটা বাজারি কোম্পানি এখন এখানে টাকা নিয়ে ভোট করাতে এসেছে। তারা আমাকে বলছে আপনাকে ভোট নিয়ে কিছু ভাবতে হবে না। ভোট আমরাই করাব। ৯-১০ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি, আর আমাকে এখন রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে। আমি এই পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে পারছি না।'