একুশের নির্বাচনে ফের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে তৃণমূল (TMC)-ই। একটি জনমত সমীক্ষা (Opinion Poll)-য় তেমনই দবি করা হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নাম হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি (BJP)-র নামই। ভোট শতাংশের নিরিখে বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকছে তৃণমূল।
সোমবার 'সি ভোটার' (C Voter)-এর জনমত সমীক্ষা সম্প্রচারিত হয়েছিল এবিপি আনন্দ (ABP Ananda)-এ। সেখানে বলা হয়েছে, তৃণমূল ১৫৪ থেকে ১৬২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে। বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসতে চলেছে বিজেপি। তারা পেতে পারে ৯৮ থেকে ১০৬টি আসন। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট ২৬ থেকে ৩৪ আসন নিয়ে শেষ করবে। অন্যান্যরা পেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন।
অতীতে অনেকবারই দেখা গেছে জনমত সমীক্ষা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। আবার কখনও দেখা গিয়েছে একেবারেই মেলেনি সমীক্ষা। জনমত সমীক্ষার অর্থ মানুষের ভাবনাচিন্তার একটা আভাস পাওয়া। তা যে সবসময় মিলবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে এর বিজ্ঞানভিত্তিক কিছু ভিত্তি আছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জনমত সমীক্ষা তৈরি করা হয়।
জনমত সমীক্ষা মিললে তৃণমূলের আসন প্রচুর কমে যাবে। অন্যদিকে চূড়ান্ত উত্থান হবে বিজেপি। তৃণমূলের মতো একইসঙ্গে আসন কমবে বাম এবং কংগ্রেস জোটেরও।
মানুষের মতামত জানার জন্য তাঁদেরক বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যাওয়া কি বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বড়সড় ধাক্কা খাবে? এর মধ্যে হ্যাঁ উত্তর দিয়েছেন ৪৬, না বলেছেন ৩৫ শতাংশ মানুষ এবং বলতে পারবেন না বলেছেন ১৯ শাতংশ মানুষ।
তারপরের প্রশ্ন ছিল বিধানসভা ভোটে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়াইয়ে নামলে কি বিজেপির সুবিধা হত? এই প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৩৭ শতাংশ মানুষ, না বলেছেন ৩৬ ভাগ এবং বলতে পারব না ২৭ শতাংশ মানুষ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে রাজি হলে কি বিজেপির সুবিধা হবে? এটি ছিল তৃতীয় প্রশ্ন। এ নিয়ে ৪৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন হ্যাঁ, ৩৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন না এবং কোনো উত্তর দিতে পারেননি ২৭ শতাংশ মানুষ।
ইতিমধ্যে তৃণমূল থেকে অনেক বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী দল ছেড়েছেন। এই তালিকার মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়, শীলভদ্র দত্তর মতো নেতারা। এর ফলে তৃণমূলের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।