রাজ্যে ভোটহিংসা অব্যাহত। এবার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনা বাগদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গুলিতে জখম হয়েছেন একাধিকজন । তাঁদের মধ্যে ২ জন বিজেপি কর্মী। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী।
আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বাগদার রানঘাট ৩৫ নম্বর বুথ এলাকা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, সকালে সেখানে এসে স্থানীয়দের মারধর করে রাজ্য় পুলিশ। কয়েকজন জখম হন। কয়েকজন তাঁদের কর্মীও ছিলেন। তৃণমূলের কোনও সংগঠন না থাকায় পুলিশ শাসকদলের হয়ে এই কাজ করে। এদিকে ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারপর থেকেই দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বিজেপি কর্মীদের। পুলিশ বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করে। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা।
পুলিশের অভিযোগ, তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ। পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, তারপরই পুলিশ প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি চালায়। তাতে জখম হন ৩ জন। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বলেন, 'প্রতিবার শান্তিতেই ভোট হয়। কিন্তু, এবার পরিস্থিতি প্রথম থেকেই উত্তপ্ত ছিল। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেয় ও মারধর করে পুলিশ। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। তখন পুলিশ গুলি চালায়। একজনের হাতে গুলি লেগেছে। আরও ২ জন জখম।' যদিও পুলিশের তরফে গুলি চালানো নিয়ে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কমিশন গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন : মমতার আক্রমণ! 'এক দেশ-একদল বলে চেঁচায়, টিকার দাম এক নয় কেন?'
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, 'সকালে সাধারণ মানুষকে মারধর করে পুলিশ। তারা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। আমি সকালে এসেছিলাম। মাঝে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু, পরে পুলিশ গুলি চালায়। অনেকজন জখম হয়েছেন। নিখোঁজও আছেন কয়েকজন। আমরা জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।'
প্রসঙ্গত, আজ অশোকনগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত রাজনীতি। এরইমধ্যে সামনে এল বাগদার গুলিকাণ্ড। চতুর্থ দফার ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আজকের ঘটনার পর রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির।