শ্যামপুকুরে ভার্চুয়ালি সভা থেকে ফের একবার বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এদিন তিনি সাফ জানালেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভয়ে পালিয়ে এসেছে, এমন কাউকে এজেন্ট হিসাবে চাই না। বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করবে সেই এজেন্ট হবে।
এজেন্ট নিয়ে কড়া সতর্কতা
মমতা বলেন, এখন বিজেপি হয়েছে আমাদের থেকে যাওয়া গদ্দার-মিরজাফর গুলো। কেউ কেউ সিপিএম করতে, তারপরে তৃণমূল, এখন বিজেপিতে। তোমরা কয়েকটা সিট দখল করতে পারবে। কিন্তু বাংলা দখল করতে পারবে না। আমি সেই এজেন্ট চাই না। যারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বলবে, আমাকে ভয় দেখিয়েছে বলে পালিয়ে যাবে। যারা ভয় দেখালেও ভয় পাবে না তাদের এজেন্ট করুন। বাঘের বাচ্চার মতো লড়তে পারলে তবেই এজেন্ট করবেন। না হলে কাউকে এজেন্ট করবেন না।
নির্বাচন কমিশনকে নিশানা মমতার
মমতা বলেন, গতবার কোভিডের জন্য বিজেপির কোনও নেতাকে রাস্তায় নামতে দেখিনি। নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথা অনুযায়ী চলছে। বিজেপি নেতা যাই বলল, আমি আর আজ থেকে কোনও মিছিল করছি না। তারপর থেকেই নির্বাচন কমিশনের আয়না বেরিয়ে গেল। আর সভা সভা করা যাবে না। অর্থাৎ বিজেপির সভা শেষ মানে সবার সভা শেষ। আমাকে তো কতদিন করতে দেয়নি। আমি তার মধ্যে ৫০ দিনও প্রচার চালিয়েছি। আমি ভার্চুয়াল করে সভা করে চেষ্টা চালিয়েছি। সবাই ভোট দেবেন। কোভিডের জন্য ভোট না দিলে বিজেপির লাভ হবে। আজকেও আমার কোভিড নিয়ে মিটিং আছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি কোভিডের জন্য। আর মাত্র ২ দফা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কী দরকার। শুধু বিজেপিকে পাহারা দেওয়ার জন্য। ৩ লাখ লোককে বাইরে থেকে এনে রেখে দিয়েছে। কোভিড ছড়ানোর জন্য। ওদের টেস্ট করালে ৭৫ শতাংশের কোভিড ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন, কমিশনকে ফের টার্গেট মমতার! 'চোখে ন্যাবা হয়েছে ?'
বিজেপিকে তোপ মমতার
মমতা বলেন, আজকে অক্সিজেন,ভ্যাকসিন কিছুই নেই। এর জবাব নরেন্দ্র মোদী তোমাকেই দিতে হবে। তোমাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি। ২০১৯ নির্বাচন কমিশনরে এই দুটি অফিসার ছিল। নায়েক ও বিবেক দুবে বলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে অত্যাচার করিয়েছিল। এরা পদত্যাগী লোক। এরা বিজেপির কথা শুনে চলছে। আমি উকিলদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরা বিজেপির মুখপাত্র হয়ে গিয়েছে। ৮ দফা কেন ৩৬৪ দফা ভোট হোক। ভাটপাড়া, বীজপুর, জগদ্দলে হারছিল, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছিল। ইলেকশন কমিশন চোখে দেখতে পারে না, যেন চোখে ন্যাবা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপি যা বলবে তাই বলবে। আমাদের অফিসাররা ভয়ে ভীতু হয়ে গিয়েছে। তুমি রাজধর্ম পালন কর সমস্যা নেই। কিন্তু বিজেপি ধর্ম পালন করলে, ওদের ঘরেই থাকবে।