যত বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে আক্রমণ আরও ক্ষুরধার করে তুলছে গেরুয়া শিবির। আর তৃণমূল শিবিরকে নিশানা করার ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমন কোনও দিন নেই যেদিন শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দেখা যায়নি দিলীপবাবুকে। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূলের শাসনেই এরাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার বাড়বড়ন্ত হয়েছে, ফের একবার এই অভিযোগ তুলতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। তৃণমূল বিজেপিকে রোখার চেষ্টা চালালেও সময়ের সঙ্গে সব আক্রমণই ভোতা হয়ে যাচ্ছে। এরপরেই দিলীপবাবু চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, "২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃণমূলকে অর্ধেক করেছি আর ২০২১ সালে পুরো বিদায় ঘটাবো।"
সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির মিছিলে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকেও। দিলীপের বক্তব্যেও আগাগোড়া ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজ। এই রাজ্যে উন্নয়নের হাওয়া বইবে, আর সেই পরিবর্তন বাংলায় আনবে বিজেপি। ফের একবার একথা বলতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। রাজ্য ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে বিকাশ শুরু হবে, তাই তৃণমূল এখন অসহায় হয়ে পড়েছে, দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রাম নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে।
সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা ঘোষণ করেন তিনি সেখান থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তার কিছুক্ষণ পরেই দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। রাসবিহারীর মঞ্চ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে যদি হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ সেদিন রাতেই ট্যুইট করে শুভেন্দু লেখেন, 'এ বার নন্দীগ্রামে সামনা-সামনি দেখা হবে।' এই প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন নন্দীগ্রামকে শুভেন্দুর তুলনায় আর কে ভাল চেনে? নন্দীগ্রাম একেবারে শুভেন্দুর নিজের হাতের তালুর মতই চেনা। তাই শুভেন্দু এমন দাবি করে থাকলে তা অবশ্যই করে দেখাবেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র।
এদিকে সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির মিছিলে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। মিছিল লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট। আক্রমণকারীদের দিকে পালটা এগিয়ে যান বিজেপি সমর্থকরাও। ফলে রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।