বাংলার রাজনীতিতে এমন জুটি দেখা যায়নি বললে ভুল হবে না। তাঁরা আগে ছিলেন তৃণমূলে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। সেখানে মতপার্থক্য হলে একসঙ্গেই দল ছাড়েন। বলা হচ্ছে, তাঁরা এখন তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন।
শোভন ছিলেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী। তখন পূর্ব কলকাতা জলাভূমি পরিচালন পর্ষদের অন্যতম সদস্য করা হয় বৈশাখীকে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে বদলি করে দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি সেখানকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন। তাঁকে বদলি করা হয় রাজা রামমোহন রায় কলেজে
এই বদলি নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। যার জেরে তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ কিছু মন্তব্য করেছিলেন।
নারদা মামলায় তৃণমূলের ৩ নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রকে সোমবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।
নারদকান্ডে অভিযুক্ত তৎকালীন চার বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারবে সিবিআই। এই মর্মে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর মধ্যে তিনজন তৃণমূলের এবং একজন প্রাক্তন তৃণমল এবং বিজেপির। অনেকের মতে, এই অনুমতি দিয়ে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলে, তিনি রাজ্যের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথেই চলবেন।
যে ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রথম দু'জন মন্ত্রী। মদন বিধায়ক। আর শোভন কোনও দলে নেই বলা যায়।
রাতেই শোভনকে দেখতে চলে যান বৈশাখী। দেখতে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। দুষলেন সিবিআই এবং রাজ্যপালকে।
তিনি জানান, শোভনবাবুর অনেক ওষুধ লাগে। সেগুলি না খেতে পারলে সমস্যা হবে। তাঁর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানান বার বার। তবে তা মানা হয়নি। মঙ্গলবার ভোররাতে শোভনবাবু অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বৈশাখীর অভিযোগ, এই পরিস্থ্তির জন্য সিবিআই, রাজ্যপাল দায়ী। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্য়পাল কী অরাজকতা দেখেছন?