শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ, এই সভার ফলে সেখানে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের যেন কোনও অসুবিধে না হয়। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বুধবার শহিদ মিনারে সভা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। অথচ সেখানে ডিএ-র দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মীরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে মহামান্য হাইকোর্টে এদিন আবেদন করা হয়, তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে বোম মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যদি সেখানে সভা হয়, তাহলে নিরাপত্তা আরও বিঘ্নিত হতে পারে। সেই মামলার শুনানিতে মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এই সভার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শর্ত রয়েছে। সেখানে ডিএ-সহ যে সব আন্দোলনকারীরা রয়েছেন, তাঁদের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা দিতে হবে। বাঁশ, ব্যারিকেড সহ ভালোভাবে ঘিরতে হবে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। গোটা চত্বর মুড়ে ফেলতে হবে সিসিটিভি দিয়ে। যাতে সবার গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে পদক্ষেপও করতে হবে।
আরও পড়ুন : বিরলতম! রাতের আকাশে আজ চাঁদকে ঘিরবে একসঙ্গে ৫ গ্রহ, কখন ছাদে উঠবেন?
মাননীয় বিচারপতি আরও জানান, মঞ্চ থেকে যেন প্ররোচনামূলক মন্তব্য না করা হয়। সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল তখন জানান, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। তাদের তরফে বিষয়টি দেখা হবে। মহামান্য আদালতের আরও নির্দেশ, সভার পরে মাঠ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
তবে এরপর যেন একই জায়গায় ২ সভা করা না হয়, সেই ব্যাপারটি দেখার জন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশও দেয় মহামান্য হাইকোর্ট।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, 'মহামান্য হাইকোর্ট পুলিশকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন। কোনও রকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারপতি।'
প্রসঙ্গত, AICPI অনুযায়ী ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। গত শনিবার ৪৪ দিনের মাথায় অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তাঁরা। তবে আন্দোলন চলছে। তার মধ্যেই সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।