scorecardresearch
 

Afghanistan Crisis : নাতি-মেয়ে আফগান মুলুকে, বেহালায় প্রবল উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন মা-বাবা

সংঘমিত্রাদেবী এতটাই আতঙ্কে রয়েছেন তিনি ভিডিও কলে কলকাতায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছেন বার বার।

Advertisement
সঙ্ঘমিত্রা দফাদারের মা-বাবা (বাঁদিকে), ভিডিও কল করেছেন মেয়ে। ছবি: রাজেশ সাহা সঙ্ঘমিত্রা দফাদারের মা-বাবা (বাঁদিকে), ভিডিও কল করেছেন মেয়ে। ছবি: রাজেশ সাহা
হাইলাইটস
  • আফগানিস্থানে আটকে রয়েছেন বেহালা সখের বাজারের সঙ্খমিত্রা দফাদার ও তাঁর দুই সন্তান
  • কলকাতায় প্রবল উৎকন্ঠায় রয়েছেন কলকাতায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা
  • তাঁদের আবেদন, সরকার তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা নিক

আফগানিস্থানে আটকে রয়েছেন বেহালা সখের বাজারের সঙ্খমিত্রা দফাদার ও তাঁর দুই সন্তান। কলকাতায় প্রবল উৎকন্ঠায় রয়েছেন কলকাতায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, সরকার তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা নিক।

নার্সিংয়ের কাজে
২০০২ সালে নার্সিংয়ের কাজে আফগানিস্তানের সারেনে যান তিনি। আফগানিস্থানে অস্থির পরিস্থিতি হওয়ার পর থেকে রীতিমতো গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন মা এবং তাঁর দুই সন্তান। এই অবস্থায় কী করবেন তিনি, ভেবে পাচ্ছে না। বেহালা সখের বাজারে তার বৃদ্ধ মা-বাবাও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনযাপন করছেন।

ভিডিও কল
সংঘমিত্রা দেবী শুধুমাত্র ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন। এবং সংঘমিত্রাদেবী এতটাই আতঙ্কে রয়েছেন তিনি ভিডিও কলে কলকাতায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছেন বার বার।

ফিরিয়ে আনার আর্তি
এবং তিনি বার বার বলছেন যাতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ভারতে নিয়ে আসা হয় খুব তাড়াতাড়ি। কারণ তিনি ওখানে পুরোপুরি ভাবে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। কী ভাবে ফিরবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। সংঘমিত্রাদেবীর মা-বাবাও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে তাঁর মেয়েকে ফিরিয়ে আনা যায়।

তালিবানি রাজ
আফগানিস্তানে ক্রমেই নিজেদের ঘর পাকা করছে তালিবান। সেখানে সরকার গড়ার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গিয়েছে। তালিবান নেতা মোল্লা বরাদরের নেতৃত্বে ২০ বছর পর এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কন্দাহারে তালিবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আজতক কথা বলেছে। সেখানে তারা আশ্বাস দিয়েছে, কোনও বদলা নেওয়া হবে না।

আর কী জানাচ্ছে তালিবান?
তালিবানদের অন্যতম শীর্ষনেতা মোল্লা খেরুল্লাহা খানখাহ জানান, তাঁরা আফগানিস্তানের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সেই ঘোষণ করে দিয়েছেন। তাই কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।

অন্য এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন
তালিবানের আর এক শীর্ষ নেতা আবদুল সালাম হনফি বলেন, আমরা আফগানিস্তানের সব মানুষকে ভরসা দিতে চাই। কারও কোনও ক্ষতি হবে না। সব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া হবে। আর তাঁদর সব রকমের সুবিধা দেওয়া হবে।

Advertisement

আবদুল সালাম হনফি আরও জানান, তারা দুনিয়ার সবাইকে জানাতে চান, এখাকার নাগরিকেরা সুরক্ষিত থাকবেন। কোনও দেশের বিরুদ্ধে নিজেদের দেশের জমি ব্যবহার করা হবে না। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে তলা হবে।

ভয়ানক সব ছবি
দিন কয়েক আগেকার দৃশ্য। যা কাঁপিয়ে তুলেছিল সারা দুনিয়াকে। বিমান থেকে ঝুলছে দু'জন। আর একটু পরেই তারা পড়ে যাবে। নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য তারা। কারণ দেশ চলে গিয়েছে তালিবানদের হাতে। তাদের স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না। তাই তো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে পড়েছিলেন চলন্ত বিমানে।

 

Advertisement