All Party Meeting Wednesday: রাতের অন্ধকারে ভোটারদের নাম চক্রান্ত করে বাদ দেওয়া হতে পারে বলে ইলেকশন কমিশনের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করল তৃণমূল। অনেক রাজ্যে এমন হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়েছে তারা। বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক সেরে বেরিয়ে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তার আগে বৈঠকে বিজেপির তরফ থেকে মৃতদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয় নির্বাচন কমিশনকে। তারপরই সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্র ও শনির প্রকোপ, এই তিন রাশির জীবন হচ্ছে দূর্বিষহ, প্রতিকার কী?
বিজেপির দাবি
বিজেপির পক্ষ থেকে শিশির বাজোরিয়া বৈঠকের পর বলেন, "মূল যে বিষয়টি বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সেটি হল মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কীভাবে এটা নিশ্চিত হবে, সে বিষয়টি কমিশনটি দেখতে হবে। এ ছাড়াও কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীদের দিয়ে ভোট করানো চলবে না। কারণ প্রতিটি ভোটের আগে রাজ্য সরকারের এই কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীর সংখ্যা বেড়ে যায়।"
কী বলছেন মন্ত্রী?
এদিন বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, "যাঁরা যোগ্য, তাঁদের নাম ভোটার লিস্টে তুলতে হবে। এর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। রাতের অন্ধকারে চক্রান্ত করে কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না তালিকা থেকে।" ভোটার তালিকার খসরা প্রকাশ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের পরই সরব হন তিনি। এর দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও দাবি করেন। তবে কেন এমন আশঙ্কা করছেন জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, অন্য অনেক রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। যদিও কোন রাজ্যের কথা বলছেন তা জানাননি তিনি।
এদিন সব রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত ভোটার তালিকা (Voter List) নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ৯ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত ভোটার তালিকা বেরোনোর কথা ৫ জানুয়ারি।প্রতিবার ভোটার লিস্টের সংশোধনের সময়ে এই ধরনের সর্বদল বৈঠক করে থাকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও তাঁর দফতর। এবারেও তেমনভাবেই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। এতদিন ধরে বছরে একবার ভোটার তালিকায় নাম তোলা যেত। তবে এখন সেই নিয়মে বদলে বছরে চার বার নাম তোলার সুযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে ভোটার লিস্টের আবেদনের জন্য ফর্মেও বদল এসেছে। ফলে সেই সব বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা হতে পারে ২ নভেম্বরের সর্বদলীয় বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃ কারণে-অকারণে মন খারাপ হয়? কয়েকটি খাবারেই সারে এই মনোরোগ
যদিও এই বৈঠকের সঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সরাসরি কোনও যোগ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং সেই তালিকা গ্রহণ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিষয়টিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকে। ফলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাকা এই সর্বদল বৈঠকের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের যোগ নেই বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদি সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামাও বেজে গেল এদিনের পর, এটাও খানিকটা সত্যি। এদিনই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে. এরপর শুরু হবে রাজনৈতিক লড়াই।