দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছেন। আর সেই খবরে খুশি বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এখন নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
নিজাম প্যালেসে এদিন তাঁর মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আইনজীবী সংবাদমাধ্যমর সামনে দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কথা হয়েছে। আর অনুব্রত মণ্ডল খুশি। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন : কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টি, সতর্কতা
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, 'আজ অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করি। উনি জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে সাপোর্ট করেছেন, ভরসা জুগিয়েছেন। মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন যে, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। আমরাও কোর্টে সেই কথা জানিয়েছি। মুখ্য়মন্ত্রীর সমর্থন পেয়ে ওঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। উনি জানিয়েছেন যে, দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবে। এই ঘটনায় আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই।'
প্রসঙ্গত, গতকাল বেহালায় একটি সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন,'কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট? যতবার ভোট হয়েছে ওকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন, একটা ভোটেও ওকে বেরোতে দেন না। কেষ্টকে আটকালে কী হবে? গত ২ বছরে কষ্ট পেয়েছে। ওর বউ মারা গিয়েছে।'
আরও পড়ুন : বয়স অল্প দেখায়, কমায় ওজনও; এক থানকুনির পাতাতেই সব সমাধান
অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'ও বিধায়ক হবে না।, সাংসদ হবে না। রাজ্যসভায় যাবে না।' কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব করেছে। আমি মনে করি কেষ্টরা ভয় পাবে না। একটা কেষ্টকে ধরলে, লক্ষ কেষ্ট তৈরি হবে।'
তকালের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ফের একবার 'খেলা হবে' স্লোগান শোনা যায়। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিয়েও এদিন বিজেপি তথা কেন্দ্রকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, 'একবার ঠান্ডার কথা বলে ৩ বার ডান্ডার কথা বলে। আমি বলি বিচার তো একদিন হবেই। যখন কেউ জেলে থাকে, বিচার হয়। সেই বিষয়ে কিছু বলব না। কেঁচো খুঁড়তে গোখরো বেরিয়ে যাবে। অন্যায়কে সাপোর্ট না করে বলছি, ব্যাঙ্কগুলো লুট হয়ে গেল। বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সব থাকা উচিত। আমরা দেশে কারও দয়ায় বাস করি না। এটা দেশটা আমাদের গর্ব।'