ফের একবার গেরুয়া শিবিরের নিশানায় ‘ভাইপো’। বাংলায় ভোটরঙ্গ যতই এগোচ্ছে ততই বাড়ছে কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা। গেরুয়া শিবিরের মূল নিশানায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ‘ভাইপো’নিয়েও চলছে সমানতালে আক্রমণের তির। বুধবারও যার অন্যথা হল না। এরাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজববর্গীয় ফের একবার তোপ দাগলেন। কৈলাস এদিন চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেন, ‘সারা রাজ্য জানে ভাইপো কে। কে কয়লা চুরি করে, কে গরুপাচার করে। ট্রান্সফার শিল্প কে চালাচ্ছে।’ এখানেই থামেননি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা, কৈলাসের অভিযোগ , 'বর্তমানে বাংলায় ভাইপোর সরকার চলছে।'
প্রসঙ্গত এদিনই বাঁকুড়ার জনসভা থেকে তৃণমূলনেত্রী সিপিএমকে লোভী ও বিজেপিকে ভোগী সম্বোধন করেছেন। তৃণমূলকর্মীদের ত্যাগী হওয়ার কথা বলেছেন। মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনেই কৈলাস বলেন, ভাইপো কতটা ত্যাগী তা এরাজ্যের মানুষ যানে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিজেকে ন্যায়ের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরাকেও কটাক্ষ করেন কৈলাস। রাজ্য বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়াদের রাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন বিজয়বর্গীয়।
বস্তুত রাজ্যে নির্বাচনী হাওয়া যতই গরম হচ্ছে ততই ‘ভাইপো’প্রসঙ্গ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি শিবির। গেরুয়া শিবিরের ছোট থেকে বড় সব নেতই ‘ভাইপো’প্রসঙ্গ নিয়ে ঠুকতে শুরু করেছে তৃণমূল শিবিরকে। তৃণমূলকে পিসি-ভাইপোর দল বলে তীব্র কটাক্ষ চলছে। শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে পরিবারতন্ত্রের এই রাজত্বে একদিন দল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে সব নেতা-কর্মী এমন দাবিও করা হচ্ছে গেরুয়া শিবির থেকে।
গত রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই ‘ভাইপো’ বলে তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বলেন, ‘তৃণমূল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই, ভাইপোর হাতে চলে গিয়েছে’। নাম না করে এভাবে ‘ভাইপো’বলে গেরুয়া শিবির একের পর এক আক্রমণ শানানোয় বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ হুমকি দেন, ‘হিম্মত থাকলে ভাইপো না বলে নাম উচ্চারণ করুন বিজেপি নেতারা।’তার পরেও অবশ্য দমেনি বিজেপি শিবির। জবাবে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘সময় এলে নাম ঠিক বলা হবে। আর দিদি, ভাইপো বললেই যখন মানুষ বুঝে যায় তখন নাম বলার দরকার কী?’ এবার ফের একবার সেই ‘ভাইপো’নাম নিয়েই তৃণমূলকে বিঁধলেন কৈলাস। সেই সঙ্গে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে 'উবাচ'-কেও।