কলকাতা হাইকোর্ট- ফাইল ছবি।কলকাতা পুরভোটের আগে বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় পুরভোটের আর্জি করেছিল তারা। বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দিল আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, নিরাপত্তার অভাব বোধ হলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করতে পারেন। তা খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেবে পুলিস। অর্থাৎ রাজ্যের পুলিশের উপরেই আস্থা রাখল আদালত।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় হোক কলকাতা পুরভোট। এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চার বিজেপি প্রার্থী। ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল তৃণমূল। ওই নজির আদালতে তুলে ধরেন মামলকারীরা। ভুয়ো ভোট নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াইজে দস্তুর জানান, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে তারা রাজি। রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করেন, চার জনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না।
আরও পড়ুন- '২৪ পর্যন্ত যত ভোট হবে, খেলা হবে,' BJP-কে চ্যালেঞ্জ মমতার
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত। কলকাতা পুলিশে ভরসা রেখে এ দিন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে সক্ষম পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'বাংলায় দুর্গাপুজোর জন্য কোর্টে যেতে হয়,' খোঁচা দিলীপের
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। তাদের আবেদন সাড়া না দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার বিজেপির আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তিনি জানিয়ে দেন, কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার নেই। রাজ্য পুলিশই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে সক্ষম। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সবরকম সাহায্যের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে বাহিনীতে 'না' করলেও কলকাতা পুরভোটে সমস্ত বুথ ও স্ট্রং রুমে নজরদারি ক্য়ামেরা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- 'পুরভোটে লোক-অর্থ নেই ভারতীয় সার্কাস পার্টির,' জাগো বাংলায় প্রবীর