হাইকোর্টের বাহিনী-রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি

রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল বিজেপি।  

Advertisement
হাইকোর্টের বাহিনী-রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপিকলকাতা হাইকোর্ট - ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দরকার নেই।
  • রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি।
  • শুক্রবার রাতে বিজেপির আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা পুরভোটে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে কলকাতা পুলিশই। শুক্রবার রাতে বিজেপির আবেদন খারিজ করে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল বিজেপি।  

এ দিন  রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকে। 

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দরকার নেই। রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানিয়ে দেয়, রাতে বা শনিবার সকালে নির্দেশনামা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। 

এ দিন ভোট পরবর্তী হিংসার নজির টেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপির আইনজীবী। তিনি জানান,''খাস কলকাতাতেই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুন করা হয়েছে। ৩ মে থেকে সন্ত্রাস হয়েছে রাজ্যজুড়ে। বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছি না। প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। ভোটারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার।''

 তবে বাহিনী নিয়ে আপত্তি জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য,''যে চার জন প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আর কোনও অভিযোগ নেই। পুলিশের নিরাপত্তায় কমিশন সন্তুষ্ট। পর্যাপ্ত পরিমাণে অতিরিক্ত বাহিনী মজুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। প্রয়োজনে সেটাও ব্যবহার করা যেতে পারে।'' তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, প্রতিপক্ষ অভিযোগ করছে, মানুষ ভীত এবং সন্ত্রস্ত, তাঁরা নাকি ভোট দিতে যেতে সাহস পাবেন না! আপনার কী ব্যাখ্যা? নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভোটারদের সুরক্ষায় যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তার সবটাই করা হয়েছে। পুলিশ সব ক্ষেত্রে সক্রিয় পদক্ষেপ করছে। হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতার ১৪৪টা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। সবরকম ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন- কীভাবে কোটি টাকার সম্পত্তি কাজরীর? হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

পুরভোটে বাহিনী নিয়ে আপত্তি করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান,''এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মিথ্যা মামলা করা হয়। মাত্র ৪ জন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। বাকিদের কোনও অভিযোগ নেই। এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জন বিজেপি নেতাকে নিরাপত্তা দিয়েছে পুলিশ। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে ঠিকই কিন্তু তাই বলে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে। বিধানসভা নির্বাচনের পর এতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে, কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ সক্রিয়। কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই।'' 

আরও পড়ুন- আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও নামবে তাপমাত্রা, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস

বাহিনী দেওয়া যাবে কিনা তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রের তরফে অ্যডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বলেন,''আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী তৈরি আছে। রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে আদালত যা নির্দেশ দেবে, কেন্দ্র তাই পালন করবে। আদালত নির্দেশ দিলে শনিবার সকালেই শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকে যাবে। কাল থেকে রুট মার্চও শুরু করে দিতে পারবে। সিআরপিএফ, বিএসএফ,-র বাহিনী রাজ্যে আছে। আরও বাহিনীর দরকার পড়লে ভিন রাজ্য থেকে আনতে বেশি সময় লাগবে না।''

আরও পড়ুন- "সাদা-নীল এখন দিল্লি-মুম্বই-বেঙ্গালুরুও", স্লগ ওভারে প্রচারে ঝড় মমতার

POST A COMMENT
Advertisement