মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোটি টাকার সম্পত্তির উৎস জানতে চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর প্রশ্ন, সমাজ কর্মী কাজরী কীভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন? মামলাটি আদালত গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ।
কলকাতা পুরসভার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে মমতার ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তাঁর দেওয়া হলফনামায় সম্পত্তির হিসাব নিয়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য় ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৯৯ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূর অস্থাবর সম্পত্তি ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৮৩ টাকার। আর স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ২৬ হাজার ১১৬ টাকার। স্বামী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। পাশাপাশি কালীঘাট সংলগ্ন এলাকা, ওড়িশা এবং বোলপুরে ৯টি জমি রয়েছে বলে হলফনামায় ঘোষণা করেছেন কাজরী। পেশা হিসেবে তিনি লিখেছেন, সমাজসেবা।
পেশায় সমাজসেবী হয়েও কাজরীর কোটি টাকার সম্পত্তি কীভাবে হল? তার উৎস কী? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ।সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করার আর্জি করেছেন তিনি। ইমতিয়াজের দাবি, তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শীঘ্রই এই মামলার শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। এর পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
প্রথমবার ভোটে লড়া কাজরীর কোটি টাকা সম্পত্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুজন চক্রবর্তীরা। ভ্রাতৃবধূর সম্পত্তির হিসাব তুলে ধরে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন তাঁরা। যদিও কাজরী দাবি করেছেন, খেটে ওই টাকা রোজগার করেছেন। কিছু না পেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে বিরোধীরা। সৎ পয়ে আয় তাই সত্যি কথা হলফনামায় দিয়েছি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- 'পুরভোটে লোক-অর্থ নেই ভারতীয় সার্কাস পার্টির,' জাগো বাংলায় প্রবীর
কাজরীকে টিকিট দেওয়া নিয়ে দলীয় অসন্তোষও দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে। ওই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের কাউন্সিলর রতন মালাকার। এবার তিনি টিকিট পাননি। তাতে ক্ষুব্ধ হন বিদায়ী কাউন্সিলর। নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে অভিষেকের মধ্যস্থতায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন রতন।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, হাইকোর্টে ধাক্কা বিজেপির