'প্রতি বছর বাঁধ সারালেও কেন ভাঙছে?', ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব মুখ্যমন্ত্রীর

ইয়াসের পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন রাজ্যে ১৩৪টি বাঁধ ভেঙেছে। এই নিয়ে প্রকাশ্যে সেচ দফতরের দিকেও উগরে দিয়েছিলেন ক্ষোভ। ইয়াসের পর ৭ দিন কেটে গিয়েছে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সেই সেচ দফতরের কাজ নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
'প্রতি বছর বাঁধ সারালেও কেন ভাঙছে?', ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব মুখ্যমন্ত্রীরমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • 'প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতি সহায়ক'
  • ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্র মুখ্যমন্ত্রীর
  • ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর পরিকল্পনা

ইয়াসের পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন রাজ্যে ১৩৪টি বাঁধ ভেঙেছে। এই নিয়ে প্রকাশ্যে সেচ দফতরের দিকেও উগরে দিয়েছিলেন ক্ষোভ। ইয়াসের পর ৭ দিন কেটে গিয়েছে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সেই সেচ দফতরের কাজ নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রতিবছরই বাঁধ সারান হচ্ছে কিন্তু ভেঙে যাচ্ছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও জলে যাচ্ছে।" প্রতিবছর বাঁধ ঠিক হলেও কেন ভাঙছে তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তোলেন। এই নিয়ে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্টও চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বাঁধ ভাঙা নিয়ে তদন্ত রাজ্যের, মমতার লক্ষ্য কি দলত্যাগী শুভেন্দু-রাজীব?

ইয়াসের পর সেচ দফতরের পাশাপাশি পরিবেশ ও বন দফতরের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও আম্ফানের পর যে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ বসানো হয়েছিল সেই গাছ কোথায় গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বলেন মমতা। এর মধ্যে ৫ কোটি লাগান হবে সুন্দরবনে, ৫ কোটি উত্তর ২৪ পরগনায় এবং বাকি ৫ কোটি পূর্ব মেদিনীপুরে।  আমফানের ভাঙা গাছ কোথায় গেল তা নিয়ে বন দফতরের কাছে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম, আরেক মাস্টারস্ট্রোক নবীনের 

গাফিলতির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দিঘা
গত ১০ বছর ধরে দিঘাকে সাজিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিঘাই তছনছ হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে। এজন্য গাফলতিকেই দায়ি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘার সৌন্দর্যায়নের ভিত্তিটাই যে ভুল ছিল, সেকথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দারমণিতে হোটেলে ক্ষতির জন্য কর্তৃপক্ষকেই দায়ি করেন। এদিকে আগামী ১১ জুন থেকে ২৬ জুন ভরা কটাল রয়েছে। তার জন্য আগাম সতর্কতা নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছএন মমতা। 'প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতি সহায়ক', এই মন্ত্র নিয়েই এগোতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি 
দিঘা, সুন্দরবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হবে। কমিটিতে থাকবেন নদী বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়‘প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে, বাঁধ ভাঙছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তত ১০ বছরের জন্য ঠিকাদারদের দায়িত্ব দিতে হবে।’ভাঙন রুখতে নদীর পাড়ে ভ্যাটিভার ঘাস লাগানোর কথাও বলেন তিনি। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement