scorecardresearch
 

Sangeet Mela 2020: মমতার গানেই সূচনা, আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রীও

উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে মেলার উদ্বোধন বেশ হালকা মেজাজেই পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে পা মেলাতেও দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত দুনিয়ার মানুষদের বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি জানান তিনি।

Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবের শুভ উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবের শুভ উদ্বোধন হল
হাইলাইটস
  • সঙ্গীত মেলার মঞ্চ থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা
  • বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না
  • সঙ্গীত দুনিয়ার মানুষদের বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি

সামনেই ক্রিসমাস। উৎসবের মপশুম। আর এই আবহেই  বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবের শুভ উদ্বোধন হল। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর লেখা। করোনা আবহে এবার সঙ্গীত মেলা আয়োজিত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে  কোভিড বিধি মাথায় রেখেই আয়োজিত হচ্ছে এবারের ‘বাংলা সঙ্গীতমেলা’।  উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে মেলার উদ্বোধন বেশ হালকা মেজাজেই পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে পা মেলাতেও দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।  তবে সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত দুনিয়ার মানুষদের বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি জানান তিনি। নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করলেন মমতা। বললেন, “যতই নিন্দা করুন। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না।”

হনুমানের মত লাফিয়ে ভোটে জেতা যাবে না, শুভেন্দু গড়ে শাহ কে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রীও
আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রীও

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ ও ‘সঙ্গীত সম্মান’ জানান হল মোট ২২ জন শিল্পীকে।এদিন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানানো হয় মঞ্চে। পাশাপাশি, কিংবদন্তি শিল্পী তথা সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কীভাবে তাঁদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে , তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের মঞ্চে তুলে ধরেন। কুর্ণিশ জানান বাংলার প্রতিভাদের। নিজেদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে বাংলার নাম উজ্জ্বল করার পরামর্শ দেন মমতা। সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, “বাংলার বিভাজনের কোনও স্থান নেই। ধর্ম আবাদা হলেও মানুষ একই। গোটা মানবজাতি একটা পরিবার।” আর বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংগীত জগতের মানুষকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন  মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেক মমতার তোপ, “যতই বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হোক বাংলার আশেপাশে কেউ আসতে পারবে না। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না।”

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও মেলেনি ভাতা, পথে নামলেন পুরোহিতরা

২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, আট দিন ধরে মেলা অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার ১০টি জায়গায়।  যেকটি প্রেক্ষাগৃহে সঙ্গীতমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার প্রতিটিতেই করোনা বিধি মেনে সিনেমা হলের মতোই একটি করে সিট ছেড়ে বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণ করবেন  পাঁচ হাজারেরও বেশি সংগীত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের। প্রতিবছরের মতোই রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চ, একতারা মুক্ত মঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মঞ্চ, এবং রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমিতে সঙ্গীতমেলা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

 

Advertisement