CPIM Paharay Public: 'দুর্নীতিগ্রস্ত' তৃণমূল নেতাদের তালিকা প্রকাশ করল সিপিআইএম। জেলা ধরে ধরে সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। বীরভূম জেলার বগটুই-কাণ্ডের পর দল ঠিক করেছিল দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের তালিকা তৈরি করা হবে। যাঁরা অল্প দিনেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন, তেমন তালিকা বানানো হবে।। শুরু হয়েছিল 'পাহারায় পাবলিক' কর্মসূচি।
শুক্রবার প্রথম দফার তালিকা প্রকাশ করা হল। দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতার নাম সেখানে রয়েছে। গুগল ফর্মের মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর আরও তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়াবহ ঘটনা বগটুই গ্রামে
সবাই শিউরে উঠেছিলেন বগটুইয়ের ঘটনার কথা জানাতে পেরে। সেখানে বাড়িতে আটকে পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ভাদু শেখ, আনারুলদের নাম উঠে আসে ওই ঘটনার পর। অল্প সময়ে তাঁরা প্রচুর টাকার মালিক হয়ে উঠেছিলেন বলে অভিযোগ। অর্থের ভাগবাঁটায়ারা নিয়েই গোলমাল। আর তার জেরেই ওই ঘটনা বলে অভিযগ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কালো গাউন, খোলা পিঠে মৌনী যেন জলপরী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
আরও পড়ুন: মদের পুরনো স্টক নিয়ে বেজায় সমস্যায় বারমালিকেরা, বরফ-জলে কাজ হবে না!
আরও পড়ুন: চাকরি পেতে ঝক্কি? এগুলো কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন
সিপিআইএমের পুস্তিকা
এদিন সিপিআইএম পিডিএফ আকারে এক পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে সিপিআইএম অভিযোগ করেছে, গোটা রাজ্যটাই তৃণমূলের চুরির খাসতালুক। তৃণমূলের নেতারা চুরি করে, নয় তো উডবার্নে ভর্তি থাকে। তৃণমূলের চুরির পাহারাদার হলে পুলিশ। তদন্তের নামে সিবিআই চু কিৎ কিৎ খেলছে। পাবলিক যাবে কোথায়?
তারা আরও জানাচ্ছে, তাই পাড়ায় পাড়ায় শাসকদলের চুরির পর্দা ফাঁস করার উদ্যোগ নিতে হবে মানুষকেই। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছিল গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে। নিজের এলাকায় শাসকদলের তোলাবাজি কাটমানি চুরি-চামারির সমস্ত তথ্য তাদের পাঠানোর জন্য। বহু মানুষ অসংখ্য তথ্য পাঠিয়েছেন এবং এখনও পাঠিয়ে চলেছেন। প্রথম দফায় তার মধ্যে কিছু তথ্য আমরা তুলে ধরা হল এ রাজ্যের মানুষের কাছে।
সেই তালিকা শুরু হচ্ছে হাওড়া জেলা থেকে। সেখানকার বিভিন্ন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত নেতাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁরা কী অনিয়ম করেছেন বলে, সে ব্য়াপারেও বলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কেউ গরুর হাট থেকে বিক্রি হওয়া গরু থেকে টাকা তোলা আদায় করেন। কোনও তৃণমূল নেতা আবার কারখানায় তোলাবাজি করেন বলে অভিযোগ।
এরপর হুগলি
হুগলি জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অটোস্ট্যান্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি আরও অভিযোগ অটোচালকের থেকে তোলা আদায় করা হয়।
সিপিআইএমের পাহারায় পাবলিক দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের তালিকায় বাঁকুড়া জেলার দু'জনের নাম রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, বালি খাদান থেকে তোলাবাজি এবং সরকারি প্রকল্পের টাকা লুট।
উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম সেখানে রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে ভ্য়াক্সিন দুর্নীতির অভিযোগ, কেউ আবার এলাকায় সন্ত্রাস চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তালিকায় সবথেকে বেশি রয়েছে হাওড়া জেলার তৃণমূল নেতাদের নাম।