বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নাম উল্লেখ করে বেনজির আক্রমণ হেনেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তারই মাঝে কুণালের মন্তব্যকে ঘিরে তৃণমূলকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, মান্থা হোন বা গাঙ্গুলি হোন, যাঁদের সম্মন্ধে ওদের (তৃণমূল) খুব কমপ্লেন, যাঁরা তাদের উদ্দেশ্যের বিরোধিত করবে বা তাদের কথা মতো কাজ করবে না তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠবে। তাহলে এতদিন যে রায়গুলো টিএমসি কোর্টে পেয়েছে, সে সিঙ্গুর থেকে শুরু করে সব, তাহলে সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন উঠতে পরে। সমস্ত বিচারকের দিকে আঙুল তোলা যেতে পারে। যাদের সংবিধান কোর্ট, কারও ওপর ভরসা নেই তারা রাজনীতি করছে কেন? তাহলে পশ্চিমবাংলায় যতগুলো ফয়সালা হয়েছে টিএমসি-র পক্ষে তাহলে আমার মনে করবো রাজনৈতিক ফয়সালা হয়েছে। এভাবে কোর্টের দিকে আঙুল তোলাটা কতটা সমিচিন সেটাও ভাবতে হবে।
কী বলেন কুণাল?
বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে কার্যত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'বিচার ব্যবস্থা ও বিচারপতিকে আমরা সম্মান করি। সাধারণ মানুষ বলেন হাইকোর্টে যাব। আমিও আমার আইনজীবীকে বলি, হাইকোর্টে পিটিশন দাও বা চলো সুপ্রিম কোর্টে যাই। একমাত্র শুভেন্দুর মুখে শোনা যায়, আমি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে যাব। কেন, কীসের জন্য? কোন কারণে বিচারপতির নাম গুরুত্ব পায়?'
প্রসঙ্গত, আসানসোলে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীই দায়ী বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। কেন অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শুভেন্দুকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এফআইআর দায়েরের জন্য দ্বারস্থ হয়। কিন্তু যেহেতু ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনওরকম এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, তাই শীর্ষ আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বদলে রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাই বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থাকে সাংবাদিক বৈঠকে বেনজির আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন - সাতসকালে মা ফ্লাইওভারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, গুরুতর আহত ১