TMC Party Ofiice at Tagore House In Jorasanko:বিশ্বকবির বাড়ি হেরিটেজ সম্পত্তি। তাতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়! এমন অভিযোগে পিটিশন জমা পড়েছিল আদালতে। ্অবশেষে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল আদালত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। শুধু দলীয় কার্যালয় ভাঙাই নয়, আগের অবস্থায় বাড়িটিকে ফিরিয়ে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পুরসভাকেও ভর্ৎসনা করা হয়েছে আদালতের তরফে। তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ঠিকানা বদল কলকাতা-শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডের, কোথায়-কীভাবে বাস ধরবেন?
কবিগুরুর বাসভবনে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়
জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরবাড়ির একটা অংশে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। কিন্তু এই ভবনেরই একাংশে আচমকা তৃণমূল তাদের স্থানীয় দলীয় কার্যালয় বানিয়ে ফেলে। বাঙালির ঐতিহ্যের ও আবেগের কবিগুরুর বাসভবনে নিত্য যাতায়াত শুরু হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ এমন পদক্ষেপে হতভম্ব হয়ে পড়ে। সম্প্রতি এটি নিয় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট আগেই এই অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও কার্যালয়ের হোর্ডিং খোলা হলেও অফিস সরানো হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। এমনকী তৃণমূলের লোকজনও নিয়মিতই যাতায়াত করছিল। এবার সেটিও বন্ধ করে নির্মাণ ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়েছে।
হতবাক বিচারপতির প্রশ্ন
সূত্রের খবর, এদিনের শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, হেরিটেজ বিল্ডিং হোক বা না হোক, যে কোনও জায়গায় যে কেউ গিয়ে দলীয় কার্যালয় বানিয়ে ফেলতে পারে কি? কাল বিলম্ব না করে পুরসভা যেন এটি সরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরসভাকে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলায় আগেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল। সওয়াল জবাবের সময়েই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে কোথাও পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?” কোনও দখলনামা না থাকলে এটা বেআইনি নির্মাণ ধরে নেওয়া হবে বলে রাজ্যের কৌঁসুলিদের জানান বিচারকদ্বয়। কলকাতা পুরসভার তরফেও বেআইনি নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দু'বার গোচর শুক্রের, ডিসেম্বরে ভাগ্য বদলাতে চলছে এই ৪ রাশির
তৃণমূলের সাফাই
তৃণমূলের তরফে আগে সিপিএমের কার্যালয় ছিল বলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও তা ধোঁপে টেঁকেনি। এদিনের শুনানির প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছেন, হেরিটেজ নির্মাণ ভেঙে ফেলা যায় না। ভেঙে ফেলা অংশের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন বলে জানানো হয়। অনুমতি ছাড়া কোনও রকম নতুন নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।