Kolkata Police: পুরী (Puri)-র হোটেল থেকে উদ্ধার কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (Assistant Commissioner) অলোক রায়ের দেহ। সপরিবারে পুরী (Puri) ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধেবেলায় হঠাৎ করেই হোটেলের ঘরে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর যায় চিকিৎসকের কাছে
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসককে। তিনি এসে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই পুরী পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা সেই মরদেহকে নিজেদের রিমান্ডে নিয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: শীতের 'সুপারফুড' লালশাক, ভাল রাখে চোখ-দাঁত, সারায় অ্যানিমিয়া, আরও অনেক গুণ
রওনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের দল
কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)-এর একটা টিম রওনা হয়েছে পুরী (Puri)-র উদ্দেশে। আজ, মঙ্গলবার সমস্ত নিয়ম মেনে ময়নাতদন্ত হবে দেহের। এবং তার পরেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর দেহ ফিরিয়ে আনবে এই পুলিশের টিম। কলকাতা পুলিশ সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে অনুমান
আরও জানা গিয়েছে, চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, ওই পুলিশকর্তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা হবে।
চলতি সপ্তাহে তিনি সপরিবারে পুরী গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বউ, মেয়ে, জামাই। পুরীর মেরিন ড্রাইভের এক বেসরকারি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। তিনি কিছুদিন ধরে অসুস্থ। উচ্চরক্তচাপ, সুগারের সমস্যা ধরা পড়েছিল। আর তাই ওষুধ চলছিল।
সহকর্মীদের মধ্যে শোক
অলোক রায় ১৯৮৬ সালের ব্য়াচের অফিসার। এখন তিনি কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)-এর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলে ছিলেন। বিদ্যাসাগর সেতুর ওসি পদের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সহকর্মীদের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বল্পভাষী, সৎ মানুষ ছিলেন। কলকাতা পুলিশের বহু সার্জেন্টকে তৈরি করেছেন নিজের হাতে। তাঁদের সব নিয়মকানুন শিখিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মদের পুরনো স্টক নিয়ে বেজায় সমস্যায় বারমালিকেরা, বরফ-জলে কাজ হবে না!
আরও পড়ুন: Urfi থেকে Sanjida পোশাকের জন্য ট্রোলড হয়েছেন এই টেলিসুন্দরীরা
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের হানা, নৌকা থেকে ঠেলে ফেলে বাঁচলেন মৎস্যজীবী