মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কখনও দিদিমণি, কখনও পিসিমণি আবার কখনও মাননীয়া কটাক্ষে বেঁধেন। সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর শ্লেষই ফিরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে প্রাক্তন সতীর্থকে বিঁধলেন 'দাদামণি' কটাক্ষে। যা শুনে শুভেন্দুর পাল্টা,'ভাইসোনা বলা উচিত।'
রাজ্যপালের পরিবর্তে আচার্য বিল পাশ হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন,'দিদিমণি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না। বিল দিল্লিতে পড়ে থাকবে।' এ দিন বিধানসভায় শুভেন্দুর কটাক্ষের পাল্টা কটাক্ষ ফিরিয়ে দিলেন মমতা। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেনিয়মের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন,'এক লক্ষ চাকরি দিতে গিয়ে ৫০-১০০টা ভুল হতেই পারে। ভুল আমরা সংশোধন করে নেব। না করতে পারলে আমায় জেলে পাঠিও'।
এরপর নাম না করে তিনি বলেন,'যে দাদামণি চাকরি দিয়েছেন, তাঁর হিসেব কে নেবে? সিবিআই তাঁদের ধরবে না? মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে উত্তর দিনাজপুর সব জায়গায় দাদামণি চাকরি দিয়েছেন। মন্দারমণির নাম তো এখন দাদামণি হয়ে গিয়েছে।'
'দাদামণি' শুভেন্দু আবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, চাকরি দিয়েছেন প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আর আলাদা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি মমতার থেকে ছোট। দাদা হতে পারেন না। শুভেন্দু বলেন,'আমি তো ওঁর থেকে ১৭ বছরের ছোট। উনি অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাদামণি বলেছেন কিনা জানি না। অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় আগে রং বিক্রি করত, এখন এক হাজার কোটি টাকার মালিক। আমাকে দাদা বলার কথা নয়। ভাইসোনা বলার কথা। আমাকে দাদা বলার কারণ নেই। এটা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন।'
আরও পড়ুন- এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও মমতা, প্রস্তাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার