মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশে এবার পড়ুয়ারাও। পড়ুয়াদের পাশাপাশি এবার প্রতীকী অনশনে ৬ অভিভাবক। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বলেছেন তাঁরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলছে এই প্রতীকী অনশন। সন্তানদের আন্দোলনের প্রতি তাঁদের পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে বলেও জানান অভিভাবকরা।
নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রায় ১৭০ ঘণ্টা ধরে চলছে পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলন। এর মাঝে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বা মেডিক্যাল কলেজের সুবার-সহ অনেকেই তাঁদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেননি পড়ুয়ারা। লাগাতার অনশনের জেরে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।
যদিও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনের বিষয়টি তাদের হাতে নেই। দিনক্ষণ জানাবে স্বাস্থ্য দফতর। আবার স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, এই বিষয়ে এখনও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। যার জেরে এখও ঘোষণা করা যায়নি নির্বাচনের দিনক্ষণ।
এদিকে ঘেরাও কর্মসূচির দিন হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে তালা দেওয়া এং তার জেরে রোগীর পরিরজনদের বিক্ষোভকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনায় পড়ুয়াদের তরফে দাবি তোলা হয় যে, তাঁদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতেই ষড়যন্ত্র করে ল্যাবে তালা ঝোলানো হয়েছিল। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমি গঠন করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষের কাছে সেই রিপোর্ট পেশ করে তদন্ত কমিটি। সেই রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে পারিপার্শ্বিক সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনওরকম ষড়যন্ত্র নয়, শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থেই ওইদিন বন্ধ করা হয়েছিল প্যাথলজিক্যাল ল্যাব। যেহেতু একসঙ্গে অনেক রোগীর পরিজনেতার গিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাই নিরাপত্তার স্বার্থের ল্যাবের দরজায় তালা ঝোলান নিরাপত্তারক্ষীরা। অর্থাৎ পড়ুয়াদের আন্দোলন তুলতে কোনওরকম ষড়যন্ত্র করে ওইদিন ল্যাবের দরজা বন্ধ করা হয়নি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন - 'মানবতার অপমান,' কম্বল বিতরণ কাণ্ডে শুভেন্দুকে নিশানা দিলীপের