ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে এক নাবালিকার নগ্ন ছবি তুলে আপলোড করা হল ফেসবুকে। তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ২ লক্ষ চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কিশোরীর মায়ের। ঘটনাটি কলকাতার। উল্টোডাঙা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। তিন অভিযুক্তই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ছটপুজোর সময় ফুলবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর ঘরে মা-বাবা ছিলেন না। সেই সুযোগ তোলে পরম যাদব, উমা যাদব ও বিদ্যানন্দ যাদব নামে তিন অভিযুক্ত। অভিযোগ, নাবালিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো হয়। নগ্ন হতে বাধ্য করা হয় তাকে। এরপর তার বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নেয় অভিযুক্তরা। এক অভিযুক্ত নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি আপলোড করে দেয় বলেও অভিযোগ। এরপর ওই নাবালিকার পরিবারের হুমকি দেওয়া হয়, দু'লক্ষ টাকা না দিলে ফেসবুকে ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- লালবাজারের ভাবনায় সকল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সার্জেন্টই তদন্তকারী অফিসার?
অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে ফুলবাগান থানায় গোটা বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা নাবালিকার মা। অভিযোগ পেয়েই জেরে নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের উচ্চমহল। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশে ফুলবাগান থানা থেকে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় উল্টোডাঙা মহিলা পুলিশের কাছে। নিগৃহীতা নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে উল্টোডাঙা মহিলা থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- মুম্বইয়ে 'ধর্ষণ' করে ব্ল্যাকমেল! স্বামী-স্ত্রী পাকড়াও কলকাতায়
অভিযুক্ত পরম যাদব, উমা যাদব ও বিদ্যানন্দ যাদবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৯ ধারা-সহ পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে উল্টোডাঙা মহিলা থানার পুলিশ। যদিও মামলা রুজু হওয়ার পর ৪ দিন পরেও কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তিন অভিযুক্তই ফেরার। লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বিহারে একটি বিশেষ দল রওনা দিয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তরা পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন- জানুয়ারিতে প্রথম ১০%-র নীচে রাজ্যের Covid সংক্রমণ হার