আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোচা। আতঙ্কে কাঁপছে ওড়িশা। মোচা নিয়ে ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস জারি করেছে IMD। এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতা হিসেবে মঙ্গলবারই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আধিকারিকদের যে কোনওরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রমাদ গুণছে ওড়িশা সরকার। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলির জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে সেই রাজ্যের তরফে। অতীতের ইতিহাস বলছে, ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় হলে তার কমবেশি প্রভাব পড়ে বাংলাতেও। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরের নানা এলাকা, সুন্দরবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এর প্রভাব পড়ে। মোচা-আতঙ্ক সেই সব এলাকাতেও।
আরও পড়ুন : সিংভি রাজ্যের আইনজীবী, 'ডিএ মিলবে কীভাবে?' ক্ষুব্ধ-মামলাকারী সংগঠন- কংগ্রেস কর্মীরাও
কোন দিন কেমন প্রভাব থাকতে পারে মোচার ?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওড়িশার পাশাপাশি বাংলার উপরও ঘূর্ণিঝড় মোচা-র প্রভাব পড়তে পারে। তাতেই আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস, ৬ মে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। পরদিন সেই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়াবে। আর ৮ মে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। যার প্রভাবে দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে। হতে পারে ঝড়ও।
সাধারণত, নিম্নচাপ ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। মোচা-র ক্ষেত্রে এটা হবে কি তা নিয়ে আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
তবে আবহাওয়া দফতর এখনও স্পষ্ট করে কিছু না বললেও আতঙ্ক দানা বাঁধছে মানুষের মধ্য়ে। কারণ পূর্বের অভিজ্ঞতা। এর আগে ফণী, আমফান ও ইয়াসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। যার প্রভাব ব্যাপক পড়েছিল। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল অনেক। ফলে মোচা-ও যে সেই রূপ দেখাবে না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ঘূর্ণিঝড় মোচা নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দিয়েছে IMD।