Suvendu Adhikari : 'সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত দিলে বাংলা অচল', হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

বুধবার শহিদ মিনারে সভা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল ছাত্র-যুবর সেই সভার আগে রাজ্যের হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শহিদ মিনারেই অবস্থান-আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বার্তা, সরকারি কর্মীদের গায়ে যদি হাত পড়ে তাহলে বাংলা অচল হয়ে যাবে। 

মঙ্গলবার কলকাতায় সভা ছিল বিজেপির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন  শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শুভেন্দু বলেন, 'সরকারি কর্মচারীদের গায়ে হাত পড়লে আগামীকাল সন্ধের পর থেকেই বাংলা অচল হবে।' তিনি আরও বলেন, '২০২১ সালের ২ মে-র পর থেকে এই সরকার খেলা হবে ডিজে বাজিয়ে ১ লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে। ১০ হাজারের বেশি বিজেপি কর্মীকে মেরেছে। মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি প্রার্থীকে খুন করেছে। সেই গুন্ডারা কাল শহিদ মিনারে আসবে।' 

আরও পড়ুন : 'ডিএ আন্দোলনকারীদের ত্রি-স্তরীয় নিরাপত্তা', অভিষেকের সভার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি

শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, ৩০ তারিখ সরকারি কর্মীদের সমাবেশ রয়েছে। সেদিন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেদিন তিনি ডিএ নিয়ে যা বলার বলবেন। তাঁর কথায়, 'ডিএ নিয়ে ৩০ তারিখে বলব। আমাকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে ডাকা হয়েছে। সেদিন শিক্ষক-সরকারি কর্মীরা থাকবেন। তাঁদের সামনে যা বলার বলব।' 

প্রসঙ্গত, শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ, এই সভার ফলে সেখানে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের যেন কোনও অসুবিধে না হয়। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। 

বুধবার শহিদ মিনারে সভা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। অথচ সেখানে ডিএ-র দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মীরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে মহামান্য হাইকোর্টে এদিন আবেদন করা হয়, তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে বোম মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যদি সেখানে সভা হয়, তাহলে নিরাপত্তা আরও বিঘ্নিত হতে পারে। সেই মামলার শুনানিতে মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এই সভার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শর্ত রয়েছে। সেখানে ডিএ-সহ যে সব আন্দোলনকারীরা রয়েছেন, তাঁদের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা দিতে হবে। বাঁশ, ব্যারিকেড সহ ভালোভাবে ঘিরতে হবে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। গোটা চত্বর মুড়ে ফেলতে হবে সিসিটিভি দিয়ে। যাতে সবার গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে পদক্ষেপও করতে হবে।