স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড প্রত্যাখ্যান করা চলবে না বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল চিকিৎসা না করালে এফআইআর করান। বারবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। এবার আরও কড়া মনোভাব নিল নবান্ন। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, তা জানতে রাজ্য এবং জেলা স্তরে নজরদারি দল তৈরি করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷
রাজ্য স্তরে নজরদারি দলের চেয়ারম্যান হেলথ সার্ভিসেস-র ডিরেক্টর। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলাতেও সংশ্লিষ্ট জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে চেয়ারম্যান করে নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে 'সারপ্রাইজ ভিজিট' করবে এই নজরদারি দল। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা পেতে রোগীদের কোনও সমস্যা হলে খতিয়ে দেখবেন নজরদারি দলের সদস্যরা। কোন কোন হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে পরিদর্শন করলেন সেই রিপোর্ট আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্য সাথীর পোর্টালে। কোনও হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠলে আইন মেনে পদক্ষেপ করবে নজরদারি দল। জানা গিয়েছে, নজরদারি দলকে হাসপাতাল পরিদর্শনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতি অন্তত ছ'টি হাসপাতালে পরিদর্শন করতে হবে তাদের৷
রাজ্যের মানুষের চিকিৎসার খরচ লাঘবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ওই কার্ডে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি চিকিৎসা করাতে রাজি হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক হাসপাতাল রোগী ভর্তিও করাতে চায়নি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের পর জারি করা হল নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন- মমতার দিল্লিযাত্রার আগেই শান্তিনিকেতনে CBI, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ