TET Case: ২০১৪-র টেট পাশ শিক্ষকদের কাছে ১০ পয়েন্টে তথ্য তলব পর্ষদের

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই মতো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা সভাপতিদের কাছে তথ্য চেয়েছেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। 

Advertisement
২০১৪-র টেট পাশ শিক্ষকদের কাছে ১০ পয়েন্টে তথ্য তলব পর্ষদেরবিকাশ ভবন- ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
  • সেই মতো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা সভাপতিদের কাছে তথ্য চেয়েছেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। 

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কোমর বেঁধে নামল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই মতো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা সভাপতিদের কাছে তথ্য চেয়েছেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। 

গত ১৬ জুন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে পর্ষদ। ওই নির্দেশিয়কায় বলা হয়েছে, সিবিআই-কে তথ্য দিতে হবে। তাই ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন তাঁদের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। মোট ১০টি তথ্য চাওয়া হয়েছে। 

১। নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি
২। নিয়োগের রিপোর্ট ২। ২০১৪ সালে টেট ৩। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড
৪। টেটে যোগ্যতা অর্জনের নথি
৫। শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট 
৬। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণের অ্যাডমিট, মার্কশিট, শংসাপত্র বা বিএড বা তার সমতুল পরীক্ষার অ্যাডমিট, রেজাল্ট ও শংসাপত্র
৭। জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে)
৮। পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ নথি 'প্যারাটিচার এগেজমেন্ট লেটার' যদি পার্শ্ব শিক্ষকের অভিজ্ঞতায় নিয়োগ পেয়ে থাকেন
৯। প্রাক্তন-সরকারি কর্মচারী হলে প্রতিলিপি 
১০। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য নথি। 

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠি।


ঘটনাচক্রে এ দিনই বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। এক লক্ষের মধ্যে পঞ্চাশটা ভুল হয়েও থাকে বা জেনেও ভুল করে থাকে, তা হলে সংশোধনের সময় দিতে হবে। আর আমি তো সাড়ে পাঁচ হাজার চাকরির সুযোগ দিয়েছি। বেকারদের আমরা চাকরি দেব। তাতে কোনও সমস্যা হলে মিটিয়ে নিতে হবে। সংশোধন করতে না পারলে তখন না হয় আমাকে জেলে পাঠিও।'

এ দিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন,'যে দাদামণি চাকরি দিয়েছেন, তাঁর হিসেব কে নেবে? সিবিআই ধরবে না? মেদিনীপুর,মুর্শিদাবাদ হয়ে উত্তর দিনাজপুরে সব জায়গায় দাদামণি চাকরি দিয়েছেন। পুরুলিয়ায় চাকরি না দিয়ে বঞ্চিত করেছিলেন। আমার কাছে এসেছিলেন চাকরি দিয়েছিলাম।'   

Advertisement

আরও পড়ুন- মমতা নাম দিলেন 'দাদামণি', শুভেন্দুর পছন্দ 'ভাইসোনা'

POST A COMMENT
Advertisement