BJP MLAs Mihir Goswami and Sudip Mukhopadhyay Suspended: বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল দুই বিজেপি বিধায়ককে। তাঁরা হলেন মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami) এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় (Sudip Mukhopadhyay)। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (WB Governor Jagdeep Dhankhar)-এর ভাষণের সময় তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
নাটাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক মিহির গোস্বামী এব পুরুলিয়া পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে চলতি অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য বরখাস্তের প্রস্তাব রাখেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর ফলে বিজেপির এই দুই বিধায়ক বিধানসভায় আর বসতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: 'কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না,' সোজাসাপ্টা রোহিত শর্মা
বিজেপির প্রবল সমালোচনায় মমতা
বিধানসভায় গোলমালের ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেছিলেন, বিধানসভা শুরু হয়েছে। বিজেপির নির্লজ্জ ভূমিকা দেখা গিয়েছে। তাদের প্ল্য়ান ছিল গণতন্ত্রের হত্যা হোক। হেরে গিয়েও লজ্জা নেই। হেরে গেলে বলে ঝামেলা হয়েছে।
তিনি (WB CM Mamata Banerjee) আরও জানান, কেউ ইচ্ছা ঝামেলা করলে পার্টি কেন দায়িত্ব নেবে ঝামেলার? জায়গাগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন, কন্টাই, ব্য়ারাকপুর, ভাটপাড়া, বহরমপুর। নিজেদের লড়ার ক্ষমতা নেই। কাউকে তো বাধা দেওয়া হয়নি। আগামী দিন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। যেভাবে ৭-৮টা জায়গা ছাড়া যেভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে, চাই তা শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। কুৎসা, অপপ্রচারকারী, ষড়যন্ত্র, দাঙ্গাকারীর দল বিজেপি।
মমতা (WB CM Mamata Banerjee) বলেছিলেন, বিজেপির বাহিনী গণতন্ত্র লুঠ করতে এসেছিল। তবে তৃণমূলের মহিলারা সদসদ্যরা সে কাজ আটকে দিয়েছেন। বোনেরা সামনে ছিল। আর ভাইয়েরা পিছন থেকে সমর্থন করেছেন। ভাল করে রিপ্লাই দিতে হবে। মাথা ঠান্ডা করে। আমি সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। দার্জিলিঙে ভোট হয়েছে। আমি খুশি। এবার জিটিএ ভোট হোক। দলের কেউ আলাদা করে বলবে তা হবে না।
মিহির ছিলেন তৃণমূলেই
তৃণমূল ছাড়ার আগে দলের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, 'আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, অর্থাৎ এই দল আর আমার নয়, হতে পারে না।' এর আগে একাধিক বার তাঁর করা মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছিলন তিনি। সেখানে দলের কাজকর্ম নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগে তিনি ভোট বিশেষজ্ঞ, তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের ওপর একাধিক বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে তিনি ঠিকাদর সংস্থার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। দলের সব পদ থেকে সরে যাওয়ারও ঘোষণা করেছিলেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, 'আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, অর্থাৎ এই দল আর আমার নয়, হতে পারে না। শ্যামা মায়ের আরাধনা লগ্নে আমার এই অনুমান আরও দৃঢ় হয়েছে। তাই এই দলের সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করাটাই কি স্বাভাবিক নয়?'