পুরভোটে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে রাজ্য পুলিশের ডিজি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ছোটখাট অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
দিনভর বাংলার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর মিলেছে। ইভিএম ভাঙচুর থেকে প্রার্থীকে মারধর, অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চলেছে বামেরা। তবে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।
সন্ধেয় ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন,'মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মেনে সব জায়গায় পদক্ষেপ করেছি। কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। শেষ খবর পেয়েছি, ৭৬.৫ শতাংশ ভোটের হার। ৮০ শতাংশ ভোট হয় রাজ্যে। চেয়েছিলাম পুলিশের উপর মানুষ ভরসা করুন। ছোটখাট ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তালমিল রেখে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। যেখানে যেখানে অভিযোগ পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ৭৯৭ জনকে প্রিভেন্টিভ গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করেছি ৫১ জনকে। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।'
রাজ্য পুলিশের ডিজি শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করলেও তেমনটা মনে করেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়,'প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করেছে। এটা ভোট নয় যুদ্ধ হয়েছে। যাঁদের সংবিধানরক্ষার দায়িত্ব ছিল তাঁরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস কাল সকাল ১০টার আগে এসে পরিস্থিতির বিবরণ দিন। যে অবস্থা দেখলাম তা ভয়ঙ্কর। গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হল।'
আরও পড়ুন- 'এটা ভোট নয় যুদ্ধ', রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের