ইলিশ ইলিশ করে হেদিয়ে মরছিল রাজ্যের জনতা। বর্ষা ঢুকে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। তুমুল বর্ষণও শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ প্রাণের ইলিশ মন ভরাতে পারছিল না।
অবশেষে সেই আক্ষেপ বোধহয় আজই মিটতে চলেছে। রাজ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যের পাইকারি বাজারগুলিতে ইলিশ ঢুকে যাচ্ছে। এমন সুখরব মিলেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের তরফে।
এ রাজ্যের কাকদ্বীপে বৃহস্পতিবারই ঢুকেছে ৫০০ টনের বেশি ইলিশ ভর্তি ট্রলার। ফলে সম্ভবত দামও কমতে পারে বেশ খানিকটা। ফলে প্রস্তুতি শুরু করতেই পারেন।
রাজ্যের পাইকারি বাজারগুলিতে ঢুকে গেলেই খুচরো বাজারেও ঢুকে যাবে। শুক্রবারই কলকাতা-হাওড়া-হুগলি-দুই চব্বিশ পরগণা, মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বাজারগুলিতে ইলিশ মিলতে পারে। উত্তরবঙ্গে শনিবার থেকে এই ইলিশ মেলার সম্ভাবনা।
বৃষ্টি শুরু হতেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, সাগর, পাথরপ্রতিমার মৎস্যজীবীদের জালে উঠল মরসুমের প্রথম রুপোলি শস্য।
বঙ্গোপাসাগরে বৃষ্টি ও পূবালী বাতাস থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা মিলেছে। বুধবার থেকে ৫০০ টনের বেশি ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে। মাছের দাম ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। তবে ১ কেজি ওজন হলে সেই মাছের দাম বেড়ে যাবে অনেকটাই।
খবর মিলেছে আকারে, ওজনে ইলিশগুলি ৫০০ গ্রামের ওপরে। ইতিমধ্যে ইলিশভর্তি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে নামখানা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে। ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ত ঘুরে পৌঁছে যাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের বাজারে।
গত ১৫ জুন থেকে ইলিশ ধরার মরসুম শুরু হলেও এ বারে সেভাবে ইলিশ ধরা পড়েনি। প্রায় খালি ট্রলার নিয়ে ফিরতে হয়েছিল। লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল মৎস্যজীবীদের।
জুলাই মাস পড়ে গেলেও মাছের ঝাঁক কোথায় লুকিয়েছিল, তা বুঝতে না পেরে হতাশ হচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা। অবশেষে রুপোলি শস্য জাল ভরে যাওয়ায় খুশি ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবী।