Traditional Bengali Dishes For Jamaishashti: জামাইষষ্ঠী মানেই বাঙালি ঘরের ঐতিহ্য মেনে জামাইকে রাজকীয় ভোজন! কিন্তু জানেন কি, নিয়ম অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট পদ না থাকলে এই উৎসব পূর্ণ হয় না? দেখে নিন জামাইয়ের পাতে থাকা চাই এমন ১১টি বাধ্যতামূলক পদ।
জামাইষষ্ঠী হল বাঙালি হিন্দু পরিবারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্বণ যেখানে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জামাইকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাজকীয় খাওয়ানো হয়। এই দিনে কিছু নির্দিষ্ট খাবার না থাকলে যেন উৎসবটাই অসম্পূর্ণ মনে হয়। চলুন জেনে নিই কী কী পদ রাখা চাই জামাইয়ের পাতে:
১. ভাত ও ঘি
শুদ্ধ চালের ভাত দিয়ে শুরু হয় মেনু। সঙ্গে ১ চামচ দেশি ঘি থাকতেই হবে।
২. শুক্তো
ঐতিহ্যবাহী উচ্ছে, আলু, বেগুন, পাঁপড় ও নানান শাক দিয়ে তৈরি শুক্তো না হলে শুরুটাই অসম্পূর্ণ।
৩. ডাল ও ভাজা
মুসুর বা মুগ ডাল সঙ্গে পোস্টো ভাজা, বেগুন ভাজা বা করলা ভাজা অত্যাবশ্যক।
৪. পাঁচমিশালি তরকারি
পনির, মটর, ফুলকপি, বঁটি চচ্চড়ি বা লাউ চিংড়ি—যেকোনো একটি স্পেশাল তরকারি থাকা চাই।
৫. মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল
রুই বা কাতলার মাথা দিয়ে ডাল রান্না করে পরিবেশন করাই প্রচলিত রীতি।
৬. মাছের ঝোল
রুই/কাতলা মাছের পাতলা ঝোল, আলু ও টমেটো সহযোগে।
৭. ইলিশ বা চিংড়ি স্পেশাল
জামাইষষ্ঠী মানেই ইলিশ ভাপা বা চিংড়ি মালাইকারি। অন্তত একটি থাকতেই হবে।
৮. মাংস
নৈশভোজে দেশি মুরগি বা খাসির মাংস একদম অপরিহার্য।
৯. চাটনি
আম, টমেটো বা কুলের চাটনি, যা খাওয়ার শেষে পরিবেশন করা হয়।
১০. দই-মিষ্টি
রসগোল্লা, সন্দেশ, চমচম বা পায়েস—কমপক্ষে দুটি ধরনের মিষ্টি দরকার। সঙ্গে মিষ্টি দই।
১১. পান
সব শেষে একটুকরো পান। এতে পাক হয় ভোজ।
জামাইষষ্ঠীর রীতি ও বিশ্বাস
বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ষষ্ঠীদেবী জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় পূজিত হন। জামাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সুখ-সমৃদ্ধির প্রার্থনায় শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে সাদরে আহ্বান করে ভোজে আপ্যায়ন করেন।
উপসংহার:
জামাইষষ্ঠী শুধুই একটি খাওয়া-দাওয়ার দিন নয়, বরং দুই পরিবারের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার এক সুন্দর উপলক্ষ। জামাইয়ের পাতে যদি এই ঐতিহ্যবাহী ১১টি পদ থাকে, তাহলেই পরিপূর্ণ হবে উৎসব।