বাঙালিরা পাঁচফোড়নে থাকা মেথি ব্যবহার করেন। তাছাড়া শুক্তো রান্নাতেও মেথির ব্যবহার রয়েছে। তবে উত্তর ভারতীয়দের রান্নায় মেথি অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যদি জানেন, মেথি কি মিরাকল ঘটাতে পারে, তাহলে মেথিকে সর্বক্ষণের সঙ্গী করে নেবেন।
রান্নার স্বাদ বাড়াতে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটি। অনেকে আবার ওজন ঝরানোর আশায় নিয়মিত মেথি ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। তবে ওইটুকুই, এই মশলায় যে আরও গুণ আছে তা আমাদের অনেকেরই অজানা। ঠিকমতো ব্যবহার জানলে ওষুধের পাতা-শিশি ছুড়ে ফেলে দিতে সময় লাগবে না।
চিকিৎসকদের মতে, রোগবালাই জব্দ করতে মেথির জুড়ি নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর মেথি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা খনিজে পূর্ণ মেথি স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দূর করতে একাই একশো।
বিশেষত ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যায় দারুণ কার্যকর। কিন্তু মেথিকে ঠিক কী কী উপায়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে, জানেন? দেখে নিন রোজের খাদ্যতালিকায় মেথি অন্তর্ভুক্ত করার কিছু সহজ উপায়।
মেথি ডিটক্স ওয়াটার এক গ্লাস জলে মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। পরদিন সকালে এই জল খালি পেটে পান করুন। মেথি ভেজানো জল আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন বের করে দেয়, ইনসুলিনের ভারসাম্যতা বজায় রাখে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
মেথি চা সসপ্যানে পরিমাণমতো জল নিন। এই জলে মেথির বীজ দিয়ে ফোটান খানিকক্ষণ। তারপর চা ছেঁকে পান করুন। আপনি চাইলে এতে লেবুও মেশাতে পারেন। এই চা পানে হজমশক্তি বাড়ে, শারীরিক প্রদাহ কমে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অঙ্কুরিত মেথি বীজ একটি পাত্রে পরিমাণমতো মেথি বীজ নিয়ে, তার উপর একটি ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে জল দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে।
এই অঙ্কুরিত মেথি স্যালাড, স্যান্ডউইচের সঙ্গে খেতে পারেন। নিয়মিত অঙ্কুরিত মেথি খেতে পারলে ওজন ঝরবে দ্রুত এবং হজমশক্তি বাড়বে।
মেথি প্যানকেক মসুর ডাল বাটা, মেথি শাক কুচি এবং বিভিন্ন মশলা সহযোগে পানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু প্যানকেক। ঘি বা অলিভ অয়েলে রান্না করুন এই মেথি প্যানকেক। তারপর রায়তা বা টক দইয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।