কলাপাতায় গরম ভাত। এর থেকে সুখের জিনিস পৃথিবীতে কমই আছে। সাধারণ খাবারের স্বাদও যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় এই কলাপাতা। এর যেন একটি আলাদা ফ্লেভার থাকে। এতে যেন আরও বেশি বেশি ভাত খাওয়া হয়ে যায়।
তবে সময়ের সঙ্গে যেন কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন কিছুটা কমে গিয়েছে। তার স্থান নিয়েছে প্লাস্টিক, থার্মোকল বা কাঁচের বাসন। হোটেল, রেস্তোরাঁ বা বিয়েবাড়িতে সেভাবে আর কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন নেই। বরং কোনও রেস্তোরাঁয় কলাপাতায় ভাত দিলে সেটাই একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও এখনও বহু পাইস হোটেল, বিরিয়ানির দোকানে কলাপাতাতেই পরিবেশন করা হয়।
শুধু বাঙালিই নয়। ভারতজুড়েই কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
কলাপাতার অত্যাশ্চর্য্য গুণ!
কলাপাতায় খাওয়ার বেশ কিছু গুণ রয়েছে। ভারতীয়রা গুণের বিষয়ে না জেনেই কলাপাতায় ভাত খান। কিন্তু এর গুণের বিষয়ে জানলে সত্যিই অবাক হতে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
তাহলে বুঝতেই পারছেন। কলাপাতায় খাবার যে শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে, এমনটা কিন্তু নয়। এতে খাওয়ার দুর্দান্ত উপকারিতাও রয়েছে। তাছাড়া এর আরও একটি বড় গুণ রয়েছে। সেটি কী?
পরিবেশবান্ধব
কলাপাতা পরিবেশবান্ধবও বটে। কলাবাগানে চাষের পর গাছ থেকে পাতা কেটে বিক্রি করা হয়। এর জোগানের অভাব নেই। তাছাড়া এটি সহজেই পচনশীল। মাটিতে দ্রুত মিশে যায়। তাই প্লাস্টিক, থার্মোকলের তুলনায় এতে খাওয়া অনেক ভাল। পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না। আরও বড় বিষয়টি হল, প্লাস্টিক, থার্মোকলে গরম খাবার পরিবেশন করলে তাতে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে। এদিকে কলাপাতায় সেরকম কোনও ব্যাপার নেই। তাই কলাপাতায় খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মতও বটে।