মাথার চুল যে কারও সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কেশসজ্জা যে কারও ব্যক্তিত্ব বদলে দেয়। তাই চুলের যত্ন নিতেই হয়। বয়স বাড়র সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য বেহাল হতে থাকে। কারও অল্প বয়সেই টাক পড়ে যায়। আবার কারও চুল পেকে যায়। আর বয়স বাড়লে স্বাভাবিক নিয়মেই চুল পাকতে শুরু করে। চুলের এমন হাজারো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কত কী-ই না করেন অনেকে।
বাজারে বিভিন্ন সংস্থার শ্যাম্পু, কন্ডিশনার অনেকেই ব্যবহার করেন। কেউ আবার পার্লারে গিয়ে স্পা অথবা চুলের নানা যত্ন নেন। কিন্তু এর ফল দীর্ঘমেয়াদী হয় না। ফলে চুলের সমস্যা পুরোপুরি মেটে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরোয়া উপায়েই চুলের যত্ন নেওয়া শ্রেয়। এতে খরচও যেমন কমবে, তেমন চুলও ভাল থাকবে। নারকেল তেল আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী। তবে শুধু নারকেল তেল মাখলেই যে চুল ভাল থাকবে, তা কিন্তু নয়। নারকেল তেলের সঙ্গে এই ৫ জিনিস মেশালেই আজীবন ঘন কালো চুল থাকবে। জেনে নিন...
* বিশেষজ্ঞদের মতে, নারকেল তেল এবং মধুর মিশ্রণ আমাদের চুলের জন্য খুবই ভাল। একটি পাত্রে নারকেল তেল হাল্কা গরম করে নিতে হবে। তাতে ১ চামচ মধু মেশান। তারপরে এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপরে ধুয়ে নিলে চুলের জেল্লা বাড়বে। চুল মোলায়েম হবে।
* নারকেল তেলের সঙ্গে লেবু মেশালেও উপকার পাবেন। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। নারকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুল ঘন হবে। চুলের বৃদ্ধি ভাল হবে।
* নারকেল তেলের সঙ্গে কলা মেশালেও দারুণ উপকার পাবেন। কলা চুলকে নরম করে। চুলের ডগা ফাটা রোঝ করে। নারকেল তেল এবং কলার মিশ্রণ ভাল করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ধুয়ে নিলে চুল থাকবে কোমল।
* ডিমও আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী। ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এবং প্রোটিন। ডিমের কুসুমের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। তারপরে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এতে চুলের ক্ষতি রোধ হবে।
* আমলকি চুলকে খুবই ভাল রাখে। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে আমলকির জুরি মেলা ভার। নারকেল তেলে আমলকি মিশিয়ে এই মিশ্রণ চুলে লাগালে চুলের জেল্লা বাড়বে। চুল চকচক করবে।